• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুনামগঞ্জে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ২১ কোটি টাকার মাছ


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জুলাই ২, ২০২০, ১২:৪৮ পিএম
সুনামগঞ্জে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ২১ কোটি টাকার মাছ

সুনামগঞ্জ: টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতকসহ ১১টি উপজেলার দুই হাজার ৮৪৬টি পুকুরের মাছ ও মাছের পোনা ভেসে গেছে। অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে পুকুরের। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মৎস্যচাষি। ১১টি উপজেলায় পুকুর ও মাছের ২১ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় জেলা মৎস্য অফিস।

সীমান্তের ওপাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ১১টি উপজেলার পুকুরের মাছ ভেসে যায়। পানির চাপে পুকুরের পাড় উপচে কয়েক দিনের ব্যবধানে ভেসে যায় ২০ কোটিও বেশি টাকার মাছ, মাছের পোনা ও রেনু। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর ও বিশ্বম্ভরপুর এবং দোয়ারাবাজার উপজেলা। 

জেলা মৎস্য বিভাগের হিসাব মতে, সদর উপজেলার এক হাজার ২১৮টি পুকুর, বিশ্বম্ভরপুরে ৪৫০টি, দোয়ারাবাজারে ২৯৩টি, ধর্মপাশায় ৩৪২টি, ছাতকে ২১০টি, জামালগঞ্জে ১১১টি, তাহিরপুরে ৭০টি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ৯০টি, শাল্লায় ছয়টি, দিরাইয়ে ২৬টি, জগন্নাথপুরে ৩০টি, দিরাইয়ে ২৬টি পুকুরের এক হাজার ২৬৮ মেট্রিক টন মাছ ও ১২২ মেট্রিক টন মাছের পোনা ভেসে যায়। যার বাজারদর ২০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বন্যায় পুকুরের পাড় ভেঙে  অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ১৪ লাখ টাকার।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, জেলায় দুই হাজার ৮৪৬টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বন্যায় ৫২৯ হেক্টর জমির পুকুর ও দীঘির মাছ ভেসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চাষিরা। সুনামগঞ্জে এক লাখ ২১ হাজার ৭৪৩ জন জেলে রয়েছেন। তাদের মধ্যে মৎস্যজীবী কার্ড প্রাপ্ত জেলে রয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৯০ জন।

এদিকে নদীর পানি কমতে শুরু করায় উঁচু এলাকাগুলো থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। কিন্তু নিচু হাওর ও সুনামগঞ্জ শহরের নিচু এলাকার পানি না নামায় লোকজন দুর্ভোগে রয়েছেন। হাওর ও ছয় ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সুনামগঞ্জ শহরের নিচু এলাকার সড়কে নৌকা দিয়ে লোকজন শহরে আসা-যাওয়া করছেন। পৌর এলাকার ৪০ ভাগ ঘরবাড়ি ও আঙিনায় এখনও বন্যার পানি রয়ে গেছে। সুনামগঞ্জ শহরের নিচু এলাকায় এখনও রয়েছে বন্যার পানি

জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এক লাখ ২১ হাজার ৩৫৪টি পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া তিন হাজার ২৬৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট, দিয়াশলাই, মোমবাতি, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/টিআই

Wordbridge School
Link copied!