• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে বাধা দেয়ায় জেলেকে পিটিয়ে হাসপাতালে!


শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি মে ১৭, ২০১৯, ১১:১১ পিএম
সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে বাধা দেয়ায় জেলেকে পিটিয়ে হাসপাতালে!

বাগেরহাট: পূর্ব সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার সময় বাধা দেয়ার ঘটনায় প্রতিপক্ষের পিটুনিতে সেলিম মল্লিক (৪৫) নামের এক জেলে গুরুত্বর আহত হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের তেতুল বাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর জেলেদের সহায়তায় মুমূর্ষ অবস্থায় আহত জেলেকে উদ্ধার করে একই দিন দুপুরে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত জেলে সেলিম মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলার সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা আ. রহমান হাওলাদারের ছেলে নামধারী জেলে নান্না মিয়া হাওলাদার (৩৫) তার ভাই শহিদুল হাওলাদার (৪০), একই এলাকার বাসিন্দা আলম তালুকদারের ছেলে রুবেল তালুকদার (২১), সোহরাব মাতুবরের ছেলে মিজান মাতুবর (৩০), আব্দুল মাতুবরের ছেলে ইব্রাহীম মাতুবর (২০), খলিল মাতুবর (২৮) এবং আজিজ হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৫) সহ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ভোলা টহল ফাড়ির কতিপয় অসাধু বনরক্ষীদের যোগসাজসে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করে বিষ দিয়ে মাছ আহরণের নামে মৎস্য ভান্ডারে লুটপাট চালায়।

তার ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে ভোলা টহল ফাড়ি সংলগ্ন তেতুল বাড়িয়ার একটি খালে ওই চক্রের সদস্যরা বিষ প্রয়োগ করলে এতে সেলিম মল্লিকসহ অন্যান্য জেলেরা বাধা দেয়। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে নান্নার নেতৃত্বে ৬/৭ জন মিলে জেলে সেলিমের উপর অতর্কিত হামলা শুরু করে। এক পর্যায়ে তার ডাক চিৎকারে অন্যান্য জেলেরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুত্বর অবস্থায় সেলিমকে উদ্ধার করে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে হামলাকারীদের পক্ষে রুবেল তালুকদার দাবি করেন, বিষ দিয়ে মাছ মারার অভিযোগ সঠিক নয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সেলিম মল্লিক প্রথমে আমাকে মারপিট করেন। এ সময় অন্যান্য জেলেরা সেলিমকে ২/৪টি চরথাপ্পর দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেছেন।

তবে, সুন্দরবনের ভোলা টহল ফাড়ির (দায়িত্বপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা এফ.জি আব্দুল হক জানান, মারপিটে ঘটনাটি তাদের জানা নেই এবং যোগসাজসের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!