• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সুন্দরী রাষ্ট্রপতির কারণেই কি ক্রোয়েশিয়ার সমর্থন বাড়ছে?


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ১৩, ২০১৮, ০৫:১৫ পিএম
সুন্দরী রাষ্ট্রপতির কারণেই কি ক্রোয়েশিয়ার সমর্থন বাড়ছে?

ঢাকা : সেমিফাইনালের আগেই লিখেছিলাম, মস্তিষ্ক বলছে ইংল্যান্ড হৃদয় চাইছে ক্রোয়েশিয়া। খেলার শুরুতেই গোল দিয়ে এবং আরো কয়েকটি দুর্দান্ত গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে প্রথমার্ধে ইংল্যান্ড যেভাবে এগিয়ে ছিল তাতে সবাই ধরেই নিয়েছিল, রাতটা ইংল্যান্ডের। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ক্রোয়েশিয়া। প্রথমার্ধের হজম করা গোল শোধ করে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় আরেক গোল দিয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেলো ক্রোয়েশিয়া।

ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দল আগেই বিদায়, ইংল্যান্ড আর ক্রোয়েশিয়ায় কীইবা আসে যায়। এর আগের প্রতিটি খেলায় যখন যে দল জিতেছে, তখনি তারা পক্ষ বদল করে সেই দলের সমর্থক বনে গেছে।

ফুটবল দলগত খেলা, তারপরও প্রতিটি দলের দুয়েকজন বিশেষভাবে পাদপ্রদীপের আলোয় বারবার চলে আসেন। এরা এমনি এমনি আসেন না। এদের নিজস্ব পারফর্মেন্স ছাড়াও পুরো দলটাকে এরা এমনভাবে প্রভাবিত করে রাখেন যে প্রতিপক্ষের বুকে তা অনায়াসে কাঁপন ধরায়। এরা পায়ের নৈপুন্যের সাথে যোগ করেন মেধা।

লুকা মদ্রিচ হলো ক্রোয়েশিয়ার এরকম একজন খেলোয়াড়, মাঠে থেকে যিনি পুরো দলটাকেই নেতৃত্ব দেন, খেলানও। কালও তার পারফর্মেন্স ছিল সেরকম। ফলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ফাইনালে উঠলো ক্রোয়েশিয়া।

কালকের খেলায় সমর্থন নিয়ে দর্শকদের অদ্ভূত কিছু যুক্তির কথা শুনলাম। যারা ভাল খেলার সমর্থক এবং হ্যারি কেনের উপর বাজি ধরতে আগ্রহী, তারা সব ছিল ইংল্যান্ডের পক্ষে। আবার ঔপনিবেশিক আমলের শোষণ-নির্যাতনের কারণে অনেকে এখনো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

এবারের টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বে ক্রোয়েশিয়া আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল। এ কারণে আর্জেন্টিনার অনেক সমর্থক কাল ক্রোয়েশিয়াকে সমর্থন করেছিল। ক্রোয়েশিয়া জেতার পরে তারা আরেক ধাপ এগিয়ে বলছে, ভালো টিমের কাছেই আর্জেন্টিনা হেরেছিল। তবে ক্রোয়েশিয়াকে সমর্থনের অন্যতম প্রধান কারণ হল তাদের রূপবতী রাষ্ট্রপতি। সাতারের পোষাক পরিহিত অপূর্ব রূপবতী রাষ্ট্রপতির ছবি এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল। সেই ছবির তরুণীর প্রেমে পড়ে অনেকেই এখন ক্রোয়েশিয়ার সমর্থক বনে গেছেন।

বিশ্বকাপ ফুটবল দেখার জন্য সারা পৃথিবী থেকে অসংখ্য দর্শক ছুটে এসেছেন রাশিয়ায়। সামর্থ্যের অভাবে রাশিয়ায় না যেতে পেরে অনেকেই আবার টেলিভিশনে খেলা দেখছেন। আমি হলাম দ্বিতীয় শ্রেনীর দর্শক। টেলিভিশনে খেলা দেখে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাই। কিন্তু এইসব হতভাগাদের আপনি কী বলবেন?

আপনি কি দেখেছেন সিকিউরিটির কিছু লোক সবুজ ভেস্ট গায়ে খেলার মাঠের দিক পিঠ দিয়ে গ্যালারির দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকেন? এদের দেখে খুব মায়া হয়। সারা দুনিয়ার ফুটবলপ্রেমী মানুষগুলো যখন খেলা দেখার জন্য তখন এই মানুষগুলো মাঠে থেকেও খেলা দেখতে পারে না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!