• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সূচনা হলো স্বর্ণযুগের, রাম মন্দিরের ভিত্তি বসিয়ে মোদি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ৫, ২০২০, ০৪:৫৩ পিএম
সূচনা হলো স্বর্ণযুগের, রাম মন্দিরের ভিত্তি বসিয়ে মোদি

ঢাকা : ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোদ্ধার বহুল বিতর্কিত রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বহুদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল আজ। এতদিন তাঁবুতে মাথা গুঁজে ছিলেন রামলালা। এবার তার জন্য সুবিশাল মন্দির নির্মিত হবে। বহু শতক ধরে যে ভাঙা-গড়ার খেলা চলে আসছে, আজ রামজন্মভূমি তা থেকে মুক্ত হলো। সারায়ু নদীর তীরে সূচনা হলো স্বর্ণযুগের।

বুধবার (৫ আগস্ট) কয়েক দশকের দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর গত বছর দেশটির সুপ্রিম কোর্ট অযোদ্ধার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের স্থানে রামমন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয়ার পর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে তিনি এসব কথা বলেন।

এনডিটিভি বলছে, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রত্যেকেই রাম... প্রত্যেকের মাঝেই রাম বিরাজমান। এটা আমার সৌভাগ্য যে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট এই অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমাকে ঐতিহাসিক এ মুহূর্তের প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

আনন্দবাজার বলছে, ভারতের স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গেও আজকের দিনটির তুলনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সারাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিয়েছিল। মন্দিরের জন্যও অনেকে বলিদান দিয়েছেন। ১৫ আগস্ট যেমন স্বাধীনতার প্রতীক। আজকের দিনটি তেমনই ত্যাগ, সংকল্প ও সংঘর্ষের প্রতীক।

শুধু ভারতেই নয়, গোটা পৃথিবীতে আজ রামের জয়ধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মোদি। তিনি বলেন, আজ গোটা দেশ রামময়, রোমাঞ্চিত। পৃথিবীর সর্বত্র রামের ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এই রামমন্দির আমাদের সংস্কৃতির আধুনিক প্রতীক। আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাবনার প্রতীক। সারা পৃথিবীর মানুষ এখানে আসবেন। এ মন্দিরের মাধ্যমে বর্তমানের সঙ্গে অতীতের যোগসূত্র স্থাপিত হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাম আমাদের মনে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। সব কাজে রামই আমাদের প্রেরণা। আজ সারাদেশের মানুষ রামমন্দির নির্মাণে শরিক হয়েছেন। রামের চরিত্রের কেন্দ্রবিন্দু হলো সত্যপালন। জীবনের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে রাম আমাদের কাছে প্রেরণা নন। বহুর মধ্যে বৈচিত্র্যই ভারতের বৈশিষ্ট্য। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে তাই রামায়ণের ভিন্ন ভিন্ন গাথা রয়েছে। ভারতের বাইরেও বিভিন্ন দেশে রামায়ণ রয়েছে। সর্বত্রই রাম একইভাবে পূজনীয়।

বুধবার দিল্লি থেকে লক্ষ্নৌ হয়ে অযোধ্যায় যান মোদি। পরে হনুমানগরি মন্দিরে যান তিনি। সেখান থেকে যান অযোদ্ধায়। এ সময় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মোহন ভগবত ও অন্যরা তার সঙ্গে ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!