• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সেদিন তামিমরা কতটা ভয় পেয়েছিলেন বর্ণনা করলেন যোশি


ক্রীড়া ডেস্ক মার্চ ১৯, ২০১৯, ০৯:০৮ পিএম
সেদিন তামিমরা কতটা ভয় পেয়েছিলেন বর্ণনা করলেন যোশি

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এর জেরে তৃতীয় টেস্ট বাতিল করে তড়িঘড়ি করে দেশে ফিরেছেন তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমরা। চোখের সামনে রক্তারক্তি দৃশ্য দেখেছেন তারা। দেশে ফিরে তামিম স্বয়ং জানিয়েছেন, এই দৃশ্য ভুলতে তাদের সময় লাগবে।

বাংলাদেশের স্পিন কোচ সুনীল যোশিও মনে করেন, ক্রিকেটারদের ভয়ঙ্কর এই মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট সময় লাগবে। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা দেশে ফিরলেও কোচিং স্টাফের বেশিরভাগই ছুটি কাটাতে নিজ নিজ দেশে ফিরে গিয়েছেন। যোশি গিয়েছেন ভারতে। সেখানে তিনি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

ক্রাইস্টচার্চে হামলায় সেদিন ৫০ জন নিহত হয়েছিল। অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে। ঘটনার সময় হোটেলে ছিলেন যোশি। তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ ফোন করলে প্রথম এটা জানতে পারি। তিনি জানান, মসজিদে গোলাগুলি হচ্ছে, আমাদের কারও হোটেলের বাইরে যাওয়া উচিত হবে না। দলের বাকিদের সঙ্গে আমি হোটেলে ছিলাম, কারণ স্টেডিয়ামে মধ্যাহ্নভোজ করতে চাইনি। মধ্যাহ্নভোজের পর সংবাদ সম্মেলন এবং নামাজ শেষে হোটেলে আমাদের নিতে আসার কথা ছিল টিম বাসের।’

যোশি জানান, বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে হোটেলে ফেরার পর তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। তাঁর ভাষায়, ‘তারা সবাইকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে কেঁদেছে। রাস্তায় পরে থাকা লাশ, রক্তাক্ত শরীরে আহতদের আর্তনাদ-এসব দৃশ্য তাড়া করে ফিরেছে ওদের। দেশে ফেরার আগে আমরা দলীয় কামরায় একত্র হই। মাঝরাত পেরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ওখান থেকে কেউ নিজের কামরায় ফিরতে চায়নি।’

যোশি মনে করেন, সেদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বাঁচিয়ে দিয়েছে ভাগ্য। সেই নারীর কথা বলতেই হয় যিনি তামিমদের মসজিদে যেতে নিষেধ করেছিলেন। যোশি বলেন, ‘ভাগ্য সেদিন অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। তৃতীয় টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলন শেষ হতে একটু দেরি হয়েছিল। এতে খেলোয়াড়দের মসজিদে যেতেও দেরি হয়। এ ছাড়া সেই নারী, যিনি ক্রিকেটারদের সাবধান করে তাদের জীবন বাঁচিয়েছেন।’

ক্রিকেটারদের মনোজগতে ক্রাইস্টচার্চের হামলা বড় ধরণের ঝাঁকুনি দিয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) মনোবিদের শরণাপন্ন হওয়ার চিন্তা করছে। যোশিও মনে করেন, এই ধরণের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পর্যাপ্ত সময় দরকার, ‘দল কিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। খেলোয়াড় থেকে স্টাফরাও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে, যা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। এসব ক্ষেত্রে সময়ই সেরা ওষুধ।’

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!