• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সেবার মান ও বিশ্বাস অর্জন করে ই-কমার্সকে এগিয়ে নিতে হবে


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৪, ২০২০, ০৬:৫৩ পিএম
সেবার মান ও বিশ্বাস অর্জন করে ই-কমার্সকে এগিয়ে নিতে হবে

ঢাকা: চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ই-কমার্সের প্রসার ঘটানোর সুযোগ এসেছে। সেবার মান ও বিশ্বাস অর্জন করে ই-কমার্সকে এগিয়ে নিতে হবে। ই-কমার্সে যাতে কোনো গ্রাহক প্রতারিত না হয়, সে বিষয় নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তাদের একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন বক্তারা।

মঙ্গলবার ”আগামির বাংলাদেশ” আয়োজিত “ই-কমার্স: পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ” শীর্ষক ভার্চুয়াল সেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর আহমেদ মুকুল উপস্থাপনায় অংশ নেন ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, নগদ’র হেড অব ব্রান্ড মার্কেটিং মনসুরুল আজিজ,  রিসার্চ  ফেলো সিটি ইউনিভাসির্টি অব হংকং এবং চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মল্লিকা রয়, প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুল আলম, , ইনভেস্টমেন্ট কমিটি, ই-ক্যাব;র ভাইস চেয়ারম্যান ফারহা মাহমুদ তৃণা, সাংবাদিক  উম্মন নাহার আজমী এবং ইংরেজি দৈনিক  ঢাকা ট্রিবিউনের বিজনেস রিপোর্টার নিয়াজ মাহমুদ।

আবু জাফর আহমেদ মুকুল রূপকল্প-২১, দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যাওয়া, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হলে ই-কমার্স খাত দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি জোরালো ভাবে তুলে ধরেন।

ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, চলমান পরস্থিতিতে যে সেভাবে পারে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে সারভাইভ করার চেষ্টা করছে। এটা ভাল যে, ই-কমার্সের মাধ্যমে নিজস্ব কমিউনিটির মধ্যে কিছু একটা করতে চাচ্ছে। কিন্তু খারাপ বা বিপদের কথা হলো এই স্রোত কে কাজে লাগিয়ে অনেক স্বার্থান্বেষী বা প্রতারকরা ফাঁদ পাতছে, একটা ফ্রড শ্রেণীও তৈরি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, এটার দায়িত্ব আসলে গ্রাহকের। গ্রাহককে সচেতন থাকতে হবে। তারা বুঝেশুনে না কিনলে তো ঠকবেই।

‘ফেইসবুকভিত্তিক অনেক উদ্যোক্তা রয়েছেন যারা ই-ক্যাবের সদস্য নয় কিন্তু তারা  যদি লিগ্যাল কাঠামোর মধ্যে না আসে তাহলে সামনে ব্যাংকিং সুবিধাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সাপোর্টগুলো পাবেন না। এটা তাই মাথায় রাখতে হবে যারা ব্যবসা করছেন দীর্ঘমেয়াদে কী হতে পারে’ বলেন তমাল।

তিনি আরও বলেন, বড় বড় মার্কেটপ্লেসগুলোতে দেখা যায়, বুঝে না বুঝে মার্চেন্ট হতে পণ্য নিচ্ছে যেখানে কোনো স্ট্যান্ডার্ড পলিসি মেইটেন্ট করে অপারেশনটা চালাতে পারছে না প্লেসগুলো। মার্চেন্ট যদি কোনো নিয়ম ভাঙ্গে বা প্রতারণা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো লিগ্যাল অ্যাকশনে যেতে পারে না মার্কেটপ্লেসগুলো, কারণ এখনও কোনো আইনি অবকাঠামো নেই। এছাড়া কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাকচার্ড অবস্থা নেই যে গ্রাহকরা সাপোর্ট পাবে। কুরিয়ারগুলোর ভোগান্তিও রয়েছে।

মনসুরুল আজিজ, ডিজিটাল লেনেদেনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আলোকপাত করেন। ফারহা মাহমুদ তৃণা করোনা কালে উদ্যোক্তাদের জন্য উদৃদ্ধ করার জন্য করনীয় বিষয়ে জোর দেন।

বক্তারা বলেন, দেশে ই-কর্মাসের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।  পণ্যের মান ও সেবা নিশ্চিত করে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে হবে।  দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ই-কমার্স গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, এ মুহূর্তে ই-কমার্সের প্রসার ঘটানোর সুযোগ এসেছে।  সেবার মান ও বিশ্বাস অর্জন করে ই-কমার্সকে এগিয়ে নিতে হবে।  ই-কমার্সে যাতে কোনো গ্রাহক প্রতারিত না হয়, সে বিষয় নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়াও প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপের সদস্যসহ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।

সোনালীনিউজ/এলএ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!