• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সৌদি-ইসরাইলের গোপন সম্পর্কে বিপত্তি!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ডিসেম্বর ২০, ২০১৮, ১০:৩১ পিএম
সৌদি-ইসরাইলের গোপন সম্পর্কে বিপত্তি!

ঢাকা : সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও তার দুই সহযোগীর জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর মার্কিন সমর্থিত সৌদি- ইসরাইল গোপন সম্পর্কোন্ননে বিপত্তি তৈরি হয়েছে।

ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের বরাতে কাতারভিত্তিক আল জাজিরার খবরে এমন তথ্য বলা হয়েছে। অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে সর্বাগ্রে ছিলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে খাশোগিকে নারকীয়ভাবে হত্যায় পাশ্চাত্যে এমবিএস নামে পরিচিত যুবরাজকে দায়ী করেছে মার্কিন সিনেট।

অক্টোবরে খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন এবং এ ঘটনায় সৌদি যুবরাজের প্রভাব হালকা করতে রাজকীয় আদালতের রায় দেশটির আগ্রাসী পররাষ্ট্র নীতিকে হতোদ্যম করে দিয়েছে। সৌদি আররে এক শীর্ষ কর্মকর্তা ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে বলেন, খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর বিষয়গুলো অনেকটা শীতল হয়ে পড়েছে। দেশটি সর্বশেষ যে বিষয়টি প্রকাশ করতে চেয়েছে, তাতে বিপরীত প্রতিক্রিয়াই পেয়েছে।

ইসরাইলকে এখনও রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি সৌদি আরব। খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর সংকট নিয়ে সরকারে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন বাদশাহ সালমান। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরবের সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাবে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের সমাধান। খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি যুবরাজের দুই সহযোগী পদ হারানোর পর ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কোন্নয়ন এখন ব্যাপক বাধার মুখে রয়েছে।

ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন এ হত্যাকাণ্ডে দুই অভিযুক্ত রাজকীয় আদালতের সাবেক উপদেষ্টা সৌদ আল কাহতানি ও সাবেক উপ গোয়েন্দাপ্রধান আহমেদ আল আসিরি। ইসরাইলের ভাবমর্যাদা সহানুভূতিশীল করে তুলে ধরতে সৌদি গণমাধ্যমকে নির্দেশনা জারি করেছিলেন কাহতানি। এ ছাড়া ইসরাইলি খামার থেকে উন্নত নজরদারি প্রযুক্তি কিনতে তিনি জড়িত ছিলেন।

এদিকে আল আসিরি ছিলেন কাহতানির অধীনস্ত। ইসরাইলি প্রযুক্তি থেকে সৌদি আরব কীভাবে সুবিধা আদায় করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে তিনি বেশ কয়েকবার অবৈধ রাষ্ট্রটিতে সফরে গিয়েছিলেন। এভাবেই তিনি শীর্ষ সৌদি কর্মকর্তায় পরিণত হয়েছিলেন। তবে বিপত্তি সত্ত্বেও প্রতিবেশী দুই দেশ গোপনে হলেও নিজেদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন ঘটাবে। যৌথ বাণিজ্য ও স্বার্থের দরুণ তারা সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাইবে বলে জানিয়েছে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।

বিভিন্ন ইসরাইলি কোম্পানিতে অন্তত ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ভাবছে সৌদি সরকার। এ ছাড়া ইসরাইলি ব্যবসায়ীদের নিজ দেশের পাসপোর্ট ছাড়াই বিশেষ নথি ব্যবহার করে সৌদি সফরে বিশেষ ছাড় দিচ্ছে সৌদি সরকার।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!