• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সৌম্য-নাঈমের ব্যাটে উড়ে গেল হংকং


ক্রীড়া ডেস্ক নভেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৫:৪৩ পিএম
সৌম্য-নাঈমের ব্যাটে উড়ে গেল হংকং

ঢাকা: ভারতের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারলেও ঘরের মাঠে ইমার্জিং এশিয়া কাপে ঝড় তুলেছেন সৌম্য সরকার। সঙ্গে ভারত থেকে টেনে আনা ফর্মটা এখানেও ধরে রাখলেন মোহাম্মদ নাঈম। দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিং এবং সুমন খানের বোলিং তোপে সহজেই হারিয়েছেন বাংলাদেশ। ১৫৫ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ভারতকে মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দারুণ জয় পেলেও দুঃসংবাদও পেয়েছে বাংলাদেশ দল। তরুণ লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ফের চোটে পড়েছেন। ডান হাতে সেলাইও পড়েছে দুটি। নিজের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে হংকংয়ের ব্যাটসম্যান কিঞ্চিৎ শাহর সোজা ড্রাইভ আটকাতে গেলে গুরুতর আঘাত পান এ স্পিনার। ফলে এ আসরে তার খেলা নিয়ে রয়েছে বড় শঙ্কা। 
বিকেএসপিতে লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আগ্রাসী বাংলাদেশের দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার। ফলে উড়ন্ত সূচনাই পায় বাংলাদেশ। ৯২ রানের ওপেনিং জুটিতে জয়ের পথ গড়েই বিদায় নেন নাঈম। ৫২ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৫২ রান করেন ভারতকে শেষ টি-টোয়েন্টিতে কাঁপিয়ে দেওয়া এই ব্যাটসম্যান। 

তবে নাঈম বিদায় নিলেও অপর প্রান্ত আগলে রাখেন সৌম্য। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে বাকি কাজ শেষ করেই মাঠ ছাড়েন তিনি। শান্তর সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৭২ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। খেলেন ৮৪ রানের হার না মানা ইনিংস। ৭৪ বলে এ রান করতে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শান্ত অপরাজিত থাকেন ২২ রান করে। ওমানের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি পেয়েছেন এহসান খান।

বাংলাদেশের জয়ের ভিতটা অবশ্য গড়ে দিয়েছিলেন পেসার সুমন খানই। তার বোলিং তোপে পড়ে শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল হংকং। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে দলীয় ৭৬ রানেই অর্ধেক ব্যাটসম্যান ড্রেসিংরুমে অবস্থান নেন। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে হারুন আরশাদকে নিয়ে ৫১ রানে জুটি গড়ে সে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক আইজাজ খান। তবে এ জুটি ভাঙতেই আবার নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৪ রান তুলে থামে হংকং। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন হারুন। ৩৩ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। অধিনায়ক আইজাজের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। বাংলাদেশের পক্ষে ৩৩ রান খরচ করে ৪টি উইকেট পান সুমন। এছাড়া মেহেদী হাসান ২৩ রানের বিনিময়ে পান ২টি উইকেট।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!