ঢাকা: জ্বালানী ব্যয় কমানো নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে এক মহা পরিকল্পনা নিয়েছে মরক্কো। দেশটির মোট জ্বালানির ৯৫ শতাংশ আসে বিদেশ থেকে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে দেশটি। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে সোলার প্যানেল রক্ষণা-বেক্ষণ খাতে বিশাল চাকরির বাজার তৈরি হবে।
এছাড়াও শৈল্পিক ভাবনায় সোলার প্যানেল বসানো নিয়ে গবেষণা করছে তারা। ফলে এতে মসজিদের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করছে দেশটি।
তাই দেশটি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ১৫ হাজার সরকারি মসজিদে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এই পরিকল্পনার আওতায় মসজিদগুলোতে জ্বালানি-সাশ্রয়ী বাতি, সৌরচালিত ওয়াটার হিটার ও সৌরপ্যানেল বসানো হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে মরক্কোতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে তার অর্ধেক নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দেশটি। এই লক্ষ্য পূরণে সৌরশক্তিসহ অন্যান্য উৎস খুঁজে বের করতে অনেকদিন ধরে কাজ করছে মরক্কো।
লক্ষ্য পূরণে প্রতিবছর ৮ থেকে ১০ হাজার নাগরিককে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে গড়ে তুলছে দেশটি। এছাড়া জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি তৈরি ও স্থাপনের মতো বিষয়গুলো কোর্স কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে ।
চিত্রের ছবিতে থাকা মসজিদটি হলো আস-সুন্না মসজিদ। এটি রাজধানী রাবাতে অবস্থিত ৷ ইতিমধ্যে সেখানে সোলার প্রযুক্তি বসানো হয়েছে৷ ফলে জ্বালানি খরচ কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ৷ ঐ মসজিদে সৌরপ্রযুক্তি বসাতে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ডলার৷ তবে এর ফলে জ্বালানি বাবদ খরচ প্রতি বছর কমবে ৭ হাজার ডলার করে৷
লক্ষ্য পূরণে প্রতিবছর ৮ থেকে ১০ হাজার নাগরিককে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে গড়ে তুলছে দেশটি৷ এছাড়া জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি তৈরি ও স্থাপনের মতো বিষয়গুলো কোর্স কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
সোনালীনিউজ/আতা
আপনার মতামত লিখুন :