• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্কুলে ট্রাফিক আইন শেখানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ১২:৫৭ পিএম
স্কুলে ট্রাফিক আইন শেখানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা : স্কুল থেকেই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জ্ঞানদানের ব্যবস্থা করতে হবে শিক্ষার্থীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ জেলার মোট ১৩টি সেতুর উদ্বোধনসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, 'সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা চালকদের সচেতন থাকতে হবে। সেই সঙ্গে পথচারীদেরও সচেতন হতে হবে। আর স্কুল থেকেই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জ্ঞানদানের ব্যবস্থা করতে হবে শিক্ষার্থীদের।'

তিনি আরও বলেন, 'রাজধানীসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।'

এ সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চার-লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভারসহ বেশকিছু প্রকল্প উদ্বোধন করেন তিনি।

১৩টি সেতু হলো- টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঠানবাড়ি সেতু, আলদি বাজার সেতু, শ্রীনগর উপজেলার বেলতলী সেতু, ছনবাড়ী সেতু, শ্রীনগর বাজার-১ সেতু, শ্রীনগর বাজার-২ সেতু, আটপাড়া সেতু, হাসাড়া-১ সেতু, হাসাড়া-২ সেতু, সাতগাঁও সেতু, সিরাজদিখান উপজেলার ইমামগঞ্জ সেতু, রসুনিয়া সেতু-১, রসুনিয়া-২ সেতু।

জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগেরর অধীন ঝুঁকিপূর্ণ সেতুসমূহ স্থায়ী কংক্রিট সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপন (১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এ ১৩টি সেতু। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৯৩৯.২১ লাখ টাকা (জি ও বি)। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ডিসেম্বর ২০১৬ সাল হতে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। জি ও বি এর অর্থায়নে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা। ১৩টি সেতুর দৈর্ঘ ৫২১.২৬ মিটার ও নির্মাণ ব্যয় ৮৮৬২.১৫৪ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন বিভিন্ন সড়কে ৭৮টি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু ও ১৬টি আরসিসি/জরাজীর্ণ সরু সেতুসহ সর্বমোট ৯৪টি সেতুর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২৫টি সেতু নতুনভাবে আরসিসি/পিসি গার্ডার সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে গৃহীত ‘মুন্সীগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি/আরসিসি সেতু সমূহ স্থায়ী কংক্রিট সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আরও ১৩টি সেতুর নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং ৮টি সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। ২০২০ সালের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন কোন ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি/আরসিসি জরাজীর্ণ সেতু বিদ্যমান থাকবে না।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্পগুলো দেখানো হয়। পরে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার সুবিধাভোগী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।

সোনালীনিউজ/এএস

 

Wordbridge School
Link copied!