• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

স্বপ্ন কবে হবে সত্যি


আসমাউল মুত্তাকিন মে ৩০, ২০১৯, ০১:১৬ পিএম
স্বপ্ন কবে হবে সত্যি

ঢাকা : অপেক্ষার প্রহর শেষ। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) থেকে শুরু দ্বাদশ বিশ্বকাপ ২০১৯। শত জল্পনা-কল্পনার বিশ্বকাপ এটি। বিশ্বকাপ মানেই  অন্যরকম আনন্দ, অন্যরকম উত্তেজনা। বিশ্বকাপ মানেই তো পাড়ায় পাড়ায় এবং চায়ের টেবিলে বিশ্বকাপ নিয়ে তর্ক। সবাই এক সঙ্গে বসে খেলা দেখা আনন্দ মজা আর কত কি..?

বাংলাদেশ বিশ্বকাপ মানেই ভিন্ন একটা চমক। এক সময় এমন ছিল বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতবে বা জিততে পারবে কিনা এরকম  প্রশ্ন সবাই করতো। পাশাপাশি অনেকে বলত বাংলাদেশ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে সেটা ভালো। তবে তারা প্রথম রাউন্ড পার করতে পারে এরকম আসা সেই সময় বাংলাদেশের মানুষ করত। এখন সেই বাংলাদেশ আর নেই। তখন বাংলাদেশ আর এখন বাংলাদেশের মধ্যে অনেক পার্থক্য।

সাল ১৯৯৯। বাংলাদেশের  বিশ্বকাপে অংপ্রথম অংশগ্রহণ করেছে, যা ছিল স্বপ্নের মতো।পাকিস্তান-স্কটল্যান্ডকে হারানোর কারণে। আবার ২০০৩ সালে বাংলাদেশ আবারও বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা সুযোগ পেয়েছে।কিন্তু এই বিশ্বকাপ দুঃস্বপ্নের মতো। এর কারণ  কানাডা-কেনিয়াসহ সব দলের কাছে হারের জন্য। ২০০৭ আসরে আবার আকাশ-ছোঁয়া স্বপ্নঘুড়ি; ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পরাশক্তিদের বিপক্ষে জয়ের উল্লাসে। আবার ২০১১ সালে সে স্বপ্নঘুড়ির ভোকাট্টা; ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৮ ও ৭৮ রানে অলআউটের বেদনায়। ২০১৫ বিশ্বকাপ পুণরায় উত্‍সবের রঙ ছড়িয়ে যায় ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে।প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার কারণে। বিশ্বকাপ থেকে বিশ্বকাপে স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নের পর্যায়ক্রমিক যাত্রা কি অব্যাহত থাকবে এবারও?

২০১৯ বিশ্বকাপ বিষাদকাব্য হয়ে তাহলে অপেক্ষা করে আছে বাংলাদেশের জন্য?

নাহ্, কেউই তা ভাবছে না। কারণ, ক্রিকেটটা অমন পাটিগণিতের মতো সরল অঙ্ক না।কখন কি ঘটে যা বলা মুসকিল..!!

২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ; ২০১৭ সালে আরেকটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে৷ বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস আরোও বেড়েছে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হারিয়েছে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলকে৷ গত বছরই তো উঠেছে তিন-তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে– ওয়ানডেতে ঘরের মাঠের ত্রিদেশীয় সিরিজ, দুবাই-আবুধাবির এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টিতে নিদাহাস ট্রফি৷ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজেও৷ তাহলে বিশ্বকাপ জয়ের আত্মবিশ্বাস থাকবে না কেন বাংলাদেশের?

দ্বিতীয় কারণ অভিজ্ঞতা। ১৬ কোটি ক্রিকেটপ্রাণের যে ১৫ প্রতিনিধি বিশ্বকাপে লাল-সবুজের প্রতিনিধি, তাঁদের মধ্যে পঞ্চপাণ্ডবের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা অতুলনীয়৷ মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা ২০৯, মুশফিকুর রহিম ২০৫, সাকিব আল হাসান ১৯৭, তামিম ইকবাল ১৯৩ এবং মাহমুদ উল্লাহ ১৭৫ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। তাঁদের চেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলা ক্রিকেটার ঢের আছে বিশ্বকাপে। কিন্তু ১০ দলের কোনোটিতে একসঙ্গে এমন পাঁচ ক্রিকেটার নেই, যাঁদের প্রত্যেকের ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা কম-বেশি ২০০ ম্যাচের৷ এই পাঁচ জনের জন্যই এটি হতে যাচ্ছে চতুর্থ বিশ্বকাপ। অমন যূথবদ্ধ অভিজ্ঞতাও নেই ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকাসহ কোনো দলের৷

বাংলাদেশ তাই আকাশ ছোঁয়ার স্পর্শ দেখবেন না কেন? অথচ একটা সময় বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপ খেলাই ছিল বিশ্বকাপ জয়ের সমান। কিন্তু বাংলাদেশ পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ দলের প্রতি অনেক প্রত্যাশা রয়েছে সবার। দলটির অতীত সাফল্যও অনেক বেশি। এত অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশ কখনো কোনো বিশ্বকাপে যায়নি৷ সব মিলিয়েই এ দলের উপর প্রত্যাশা অন্য সব বিশ্বকাপের চেয়ে বেশি৷ কারণ, এত অভিজ্ঞ দল বাংলাদেশ আবার কবে পারে, কখনো পাবে কিনা, সে প্রশ্ন থেকেই যায়৷'

তবে বর্তমান দলের প্রতি সবার একটা অন্যরকম ভালোবাসা কাজ করে।বাংলাদেশ হয়ে  বিশ্বকাপে খেলে ১৫ জন। সুধু ১৫ জন বলে নয়, আছে ১৬ কোটি মানুষ তাদের সাথে থাকে উৎসাহ দোওয়ার জন্য। যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে।তবেএই দলের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের রয়েছে অঘাত আত্মবিশ্বাস। আমরা মনে করি একদিন এই ট্রফিটা আমরা পাবো এই আমাদের আশা...!!!

লেখা : শিক্ষার্থী, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!