• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, একে অন্যকে ‘ছেলেধরা’ বলে খেলেন গণধোলাই


গাজীপুর প্রতিনিধি জুলাই ২৩, ২০১৯, ০৬:৩৩ পিএম
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, একে অন্যকে ‘ছেলেধরা’ বলে খেলেন গণধোলাই

গাজীপুর: স্বামী-স্ত্রী রিকশায় উঠেছেন আর তাদের সাথে ছিলেন স্বামীর এক বন্ধুও। তিনজনকে নিয়ে যখন রিকশাটি চলছিল তখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে লাগে ঝগড়া। এক পর্যায়ে তা তুমুল আকার ধারণ করে। স্ত্রী অভিযোগ করেন, তিনি শুনেছেন তার স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছেন। স্বামী অস্বীকার করছিলেন সেটি। এ নিয়েই বাঁধে বিপত্তি। এ সময় স্ত্রী যখন রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না তখন লাফ দিয়ে রিকশা থেকে নেমে ‘ছেলেধরা ছেলেধরা’ বলে চিৎকার করে উঠলেন।

রিকশা থামিয়ে নামলেন স্বামীও। তিনিও স্ত্রীকে ইঙ্গিত করে পাল্টা ‘ছেলেধরা ছেলেধরা’ বলে চিৎকার শুরু করলেন। ততক্ষণে আশপাশে থাকা মানুষরা দৌড়ে এগিয়ে এলেন। কেউ স্ত্রীর দিকে কেউবা স্বামীর দিকে। পথচারীদের যার কাছে যাকে ‘ছেলেধরা’ মনে হয়েছে তার উপরই হামলে পড়লেন। বাদ পড়লেন না রিকশায় থাকা স্বামীর নিরীহ বন্ধুটিও! জনতা মিলে তিনজনকে এক চোট গণধোলাই দেয়ার পর পুরুষদ্বয় কোনোমতে পালিয়ে বাঁচলেন। স্ত্রী তানিয়াকে পুলিশ এসে আহত অবস্থায় উদ্ধার করলো। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মার খাওয়ার সময় তানিয়া বারবার বলছিলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে, আমি ছেলেধরা না।’ কিন্তু জনতা তার কথায় কান দেয়নি।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে নয়নপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বেড়াইদেরচালা গ্ৰামের মুক্তিযোদ্ধা এবিএম তাজউদ্দিনের মেয়ে তানিয়া। তানিয়ার স্বামীর সাথে কথা কাটাকাটির এক সময় এলাকার স্থানীয়রা এসে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে দু‘জনকে পিটিয়ে আহত করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিয়াকে উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিয়ে শ্রীপুর থানার এসআই আমিনুল হক জানান, এ ঘটনার সন্দেহে তানিয়াকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!