নারায়ণগঞ্জ: জেলার রূপগঞ্জে পরকীয়া ও দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে খাদিজা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার লালমাটিয়া এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। এদিকে ঘটনার পর থেকেই স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
খাদিজা আক্তার ময়মনসিংহ জেলার টঙ্গী থানার মদিনাপাড়া এলাকার আব্দুল হান্নানের মেয়ে।
খাদিজা আক্তারের বোন রুমা আক্তার জানান, গত ৭ বছর আগে রূপগঞ্জ উপজেলার লালমাটিয়া এলাকার আমির উদ্দিনের ছেলে সিরাজ মিয়ার সঙ্গে খাদিজা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে জুঁই নামে ৫ বছর বয়সের একটি সন্তান হয়। কয়েক মাস ধরে স্থানীয় ফাতেমা বেগম নামে এক নারীর সঙ্গে সিরাজ মিয়ার পরকীয়া সম্পর্ক হয়। এরপর থেকেই খাদিজাকে তার বাপের বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিলো।
এছাড়া কারণে অকারণে স্বামী সিরাজ মিয়া, শাশুড়ি আকলিমা বেগমসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারিরীক নির্যাতন করতো। এ কারণে গত ৩ মাস আগে খাদিজা তার বাপের বাড়ি চলে যায়। গত দুই দিন আগে খাদিজা ফের স্বামীর বাড়ি লালমাটিয়ায় ফিরে আসে। পরিবারের দাবি, খাদিজা আক্তারকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই শিশু জুঁইকে নিয়ে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। খাদিজার নানি লাইলি বেগম বলেন, বেলা ১১টার দিকে তাদেরকে খবর দেয়া হয় খাদিজা মারা গেছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ, খাদিজা আক্তারের স্বামী সিরাজ এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তিনি এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করে যুব সমাজ ধ্বংস করে ফেলছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার এসআই সাজাউল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত কিছু বলা যাচ্ছেনা।
সোনালীনিউজ/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :