• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘স্যার’ না বলায় তিনি যা করলেন!


নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল আগস্ট ৯, ২০১৭, ১২:১৯ পিএম
‘স্যার’ না বলায় তিনি যা করলেন!

বরিশাল: ‘স্যার’ বলে সম্বোধন না করায় এক মোটরসাইকেল আরোহীকে মামলা দিয়ে হেনেস্তা করা হয়েছে বলে বরিশাল মহানগর পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট তৌহিদ মোর্শেদ মো. টুটুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর আমতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. রাসেল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির সমাধান করেন।

হেনেস্তার শিকার ইফাদ অটো’স লিমিটেডের বরিশাল অফিসের অ্যাকাউন্ট অফিসার মো. আলী হাওলাদার জানান, মোটরসাইকেল চালিয়ে তিনি নগরীর সাগরদী বাজার কুয়েত প্লাজায় অফিসে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমতলা মোড় অতিক্রমকালে তাকে থামার সংকেত দেয় ট্রাফিক সার্জেন্ট টুটুল।

তিনি মোটর সাইকেল থামানোর পর সার্জেন্ট তার কাছে মোটরসাইকেলের এবং তার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চান। তিনি কাগজপত্র বের করে দেয়ার পর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও হেলমেট ব্যবহার না করার অপরাধে একটি মামলা দায়েরের উদ্যোগ নেন সার্জেন্ট টুটুল।

আলী হাওলাদার অভিযোগ করেন, মোটরসাইকেলের স্মার্টকার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রাফিক সার্জেন্টের হাতে থাকার পরও মোটরসাইকেলটি তার কিনা, তার নাম এবং বাবার নাম জানতে চান।

তখন তিনি বলেন, স্মার্টকার্ড-ড্রাইভিং লাইসেন্স সবই আপনার কাছে, তারপরও কেন এসব প্রশ্ন করছেন? এ সময় আলী হোসেন কথপোকথনে সার্জেন্ট টুটুলকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে হেলমেট ব্যবহার না করার মামলার স্লিপে সরকারি আইন অমান্য, সরকারি কাজে বাধা এবং হুমকি প্রদানের ধারা সংযুক্ত করেন। এ সময় আলীর সঙ্গে থাকা মঈন নামে একজন তার মুঠোফোনে পুরো ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করায় আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন সার্জেন্ট টুটুল।

এ সময় বহু প্রত্যক্ষদর্শীর উপস্থিতিতে তিনি মঈনকে মারতেও উদ্যত হন বলে অভিযোগ আলী হাওলাদারের। পরে মিথ্যা অভিযোগের ধারা সংযুক্ত করায় আলী হোসেন ওই কেস স্লিপ নিতে অস্বীকৃতি জানান এবং বিষয়টি ট্রাফিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। খবর পেয়ে মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) মো. রাসেল ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য নেন।

পরে তিনি মো. আলীর অভিযোগের সত্যতা পেয়ে দুইজনকেই ‘সরি’ বলতে বলেন। সার্জেন্ট টুটুল প্রথমে নিজের ভুল স্বীকার করে সরি বলতে অস্বীকৃতি জানালেও সহকারী কমিশনারের কঠোর মনোভাবের কারণে শেষ পর্যন্ত সরি বলতে বাধ্য হন এবং উভয়ে সরি বলে করমর্দন করেন। এ সময় সহকারী কমিশনার সরকারি কাজে বাধাদান এবং হুমকি দেয়ার ধারা বাদ দিয়ে শুধু হেলমেট ব্যবহার না করার অপরাধের ধারা দিয়ে মামলা দিতে বলেন সার্জেন্ট টুটুলকে।

সার্জেন্ট তৌহিদ মোর্শেদ মো. টুটুল জানান, ওই ব্যক্তির নাম এবং বাবার নাম জানতে চাইলে চটে যান তিনি। অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন তিনি। পরে মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান হয়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!