• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সড়ক নির্মাণে দুর্নীতি রুখল জনগণ


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানুয়ারি ২১, ২০১৯, ০১:৪৫ পিএম
সড়ক নির্মাণে দুর্নীতি রুখল জনগণ

প্রতীকী ছবি

ঢাকা : ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়ক প্রকল্পের সাড়ে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় জনগণ। রাস্তা থেকে ওঠানো পুরনো পাথরের সঙ্গে আবর্জনা যুক্ত বালু মিশিয়ে সড়ক তৈরির চেষ্টা করলে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঝিনাইদহের হলিধানী বাজারের জনগণ রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। কাজ বন্ধ করা এলাকাবাসীর মধ্যে একজন মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, রাস্তায় ময়লাযুক্ত বালুর সঙ্গে পরিমাণে একদম কম খোয়া মিশিয়ে রাতারাতি রোলার করার বিষয়টি প্রথমে আমার নজরে আসে। পুরনো রাস্তার ভাঙা খোয়া আগের রাতে ভেঙে সেটা দিয়েই রাস্তা করা হচ্ছে।

রাস্তায় ৭৫% বালি ও ২৫% খোয়া দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

হলিধানী বাজার কমিটির লোকজন অভিযোগ করেন, সড়ক নির্মাণে যেসব দ্রব্য ব্যবহার করা হচ্ছে তা একেবারেই নিম্নমানের।

ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর-মুজিবনগর ৪ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের সাড়ে ১৭ কোটি টাকার কাজটি পায় ময়মনসিংহের ঠিকাদার শামীম এন্টারপ্রাইজ। তার কাছ থেকে কাজটি কিনে নিয়ে রাস্তা নির্মাণ করছে আবু মুনছুর এন্টারপ্রাইজ।

প্রথম থেকেই এই রাস্তার কাজটি ছিল দুর্নীতিতে ভরা। পুরনো রাস্তার পিচযুক্ত পাথর গুঁড়া করে তাই রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ইটের খোয়া ও ময়লাযুক্ত বালি ব্যবহার করায় কয়েক দফা কাজটি বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী।

রাস্তার কাজ তদারকিতে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের গাফিলতিও আছে বলেও স্থানীয়রা মনে করে।

রাস্তার কাজ বন্ধ করার কথা স্বীকার করে ঝিনাইদহ সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তানভির আহম্মেদ পরিবর্তন জানান, খবরটি পাওয়ার পর আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি।

তিনি আরো বলেন, হলিধানী বাজার কমিটির কথামতো রাস্তা উঁচু করতে গিয়ে ঠিকাদার মূল নকশা অনুসরণ করছেন না। এ কারণে হয়তো তিনি দুর্নীতি করতে পারেন।

ঝিনাইদহ সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, আমি মাগুরা শহরে একটি মিটিংয়ে আছি। খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে পারব।

উল্লেখ্য, এর আগে একই সড়কের বিভিন্ন কিলোমিটারে ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মেরামতসহ সিলকোটের কাজ যেনতেনভাবে শেষ করে তড়িঘড়ি করে বিল তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার। এ সব দুর্নীতির সঙ্গে ঝিনাইদহ সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তানভির আহম্মেদ সরাসরি জড়িত বলেও অভিযোগ উঠেছে।

তবে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তানভির আহম্মেদ তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!