• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
ভিসা হওয়ার পরও

হঠাৎ আটকে গেলো ১০ হাজার ওমরাহ যাত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০, ০২:০৭ পিএম
হঠাৎ আটকে গেলো ১০ হাজার ওমরাহ যাত্রী

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ভিসা হওয়া পরও বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার ওমরাহ যাত্রী আটকে গেলেন। করোনাভাইরাসের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কারণে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে একটি হোটেলে ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ-২০২০’ ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম এ তথ্য জানান।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আজকে ২৭ তারিখে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে পৃথিবীর সব দেশের ওমরাহ ভিসা ইস্যু স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ভিজিট ভিসাও। ওমরাহ যাত্রীদের সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার কথাও বলা হয়েছে।

হাব সভাপতি আরো বলেন, আমি সকাল বেলা সৌদি দূতবাসের সঙ্গেও কথা বলেছি। যাদের ভিসা আছে তারা যেতে পারবেন কিনা বিষয়টি অস্পষ্ট। আজকে সকালে বিমানবন্দরে আমাদের যে যাত্রীরা গিয়েছেন সকলেই অপেক্ষামান আছেন, কাউকেই বোর্ডিং পাস দেয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমি সৌদি এয়ারলাইন্সের এয়ারপোর্ট ম্যানেজারের সঙ্গে ও কথা বলেছি। তিনি বলেছেন আমরা পরবর্তী ফ্লাইটের যাত্রীদের দাঁড় করিয়ে রেখেছি, সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটা মেইলের অপেক্ষায় আছি। এটা না আসা পর্যন্ত ওনারা কাউকে যেতে দেবেন না।’

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি বলেন, আপাতত মনে হচ্ছে, ভিসা তো নতুন করে ইস্যু হবেই না। আর যাদের ভিসা করা আছে, তারাও যেতে পারবে না, বলেই মনে হচ্ছে। তারা যেতে পারবেন না। এটা যদি হয়, আমাদের কাছে একটা হিসাব আছে। এখন প্রায় ১০ হাজার ওমরাহ ভিসা করা আছে। এই ১০ হাজার ভিসার বিপরীতের প্রায় ৫ হাজার টিকিট কাটা আছে। ৫ হাজার টিকিটের মধ্যে ২ হাজার টিকেট লো-কস্ট এয়ারলাইন্সের, যেগুলো নন-রিফান্ডেবল। সেখানে ৯ কোটি টাকার মতো টিকেট কাটা আছে।
 এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম  বলেন, ভিসাগুলোর জন্য সৌদি সরকারকে (আইবিএনের মাধ্যমে) পরিশোধ করা হয়েছে ২০ কোটি টাকা। সাধারণ ক্যারিয়ারে যে ৩ হাজার টিকিট কাটা আছে সেগুলোর জন্যও আর্থিক ক্ষতি হবে। আর সেখানে যে হোটেল ভাড়া করা আছে, এজন্য মূল্য আগেই পরিশোধ করতে হয়। ভিসা ফি আর হোটেল ভাড়া আর ফিরে পাওয়া যাবে না।’

এদিকে, সকাল বেলা যে বিমানগুলো সৌদি আরব গেছে, সেগুলো ওমরাহ যাত্রীদের নেয়নি বলেও জানান শাহাদাত হোসাইন তসলিম। সব মিলে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা ইনস্ট্যান্ট ব্যয় হয়েছে, যে টাকা আর ফেরত পাওয়া যাবে না। এটা এখন এজেন্সি ও ওমরাহ যাত্রীদের ক্ষতি হবে বলে জানান তসলিম।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!