• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘হঠাৎ কে যেন আমার হাত ধরে টেনে বাইরে নিয়ে আসে’


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ৩, ২০১৮, ০১:৪১ পিএম
‘হঠাৎ কে যেন আমার হাত ধরে টেনে বাইরে নিয়ে আসে’

ঢাকা : নেপালে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ফারুক হোসেন প্রিয়ক ও শিশু কন্যা প্রিয়ংময়ী। কিন্তু বেঁচে যান আলমুন নাহার এ্যানির। স্বামী ও সন্তানকে হারিয়ে প্রতিদিনই দুঃস্বপ্নে ঘুম ভাঙে তার।

দুঃসহ স্মৃতির কথা স্মরণ করে এ্যানি বলেন, প্রিয়ংময়ী ওর বাবার কোলেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। প্রিয়ক আর আমি গল্প করছিলাম। এসময় হঠাৎ করে বিমানে একটি ঝাঁকুনি দিয়ে আগুন ধরে যায়। মাত্র আধা থেকে ১ মিনিটের মধ্যে কি যে হয়ে গেল ভাবতে পারছি না।

এ্যানি বলেন, আমার সিট বিমানের পাখা বরাবর হওয়ায় ওই পাশটা সবার আগে ভেঙে যায়। আমার সিটবেল্ট খোলা থাকায় আমি দাঁড়িয়ে প্রিয়কের সিট বেল্ট খোলার চেষ্টা করি। প্রিয়ক অজ্ঞান হয়ে যায়। এসময় হঠাৎ করে কে যেন আমার হাত ধরে টান দিয়ে বাইরে নিয়ে আসে।

বাইরে বেরিয়ে চিৎকার করে বলতে থাকি বিমানে আমার স্বামী ও মেয়ে আছে, আপনারা ওদের বাঁচান।  কিন্তু কেউ কথা শুনে নাই। নেপালের সেনাবাহিনীর ৪ সদস্য এসে আমার কথা না শুনেই হাত-পা ধরে আমাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তোলে।  মাত্র আড়াই বছর বয়সেই মেয়েটা আমাকে ছেড়ে চলে গেল।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ কর্মের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এ্যানি। ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পর প্রিয়কের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের দেড় বছরের প্রিয়ংময়ীর জন্ম হয়।

প্রিয়জন হারানোর শোক কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন এ্যানি। তিনি জানান মানুষের সেবা করে প্রিয়ক প্রিয়ংময়ীকে খুঁজে পেতে চান।

সোনারনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!