• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

হঠাৎ চিজ কেকের চাহিদা তুঙ্গে


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২, ২০১৮, ১০:২৯ পিএম
হঠাৎ চিজ কেকের চাহিদা তুঙ্গে

ঢাকা : জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং আওয়ামী লীগের সংলাপের ফাঁকে নৈশভোজে থাকা চিজ কেক নিয়ে রসালো আলোচনা সামাজিক মাধ্যমে। দোকনিরা বলছেন, সংলাপের পর হঠাৎ বেড়েছে এই কেকের চাহিদা। যেসব দোকানে বিক্রি হয় না, সেগুলোতেও ক্রেতারা এসে খোঁজ করছেন পণ্যটির ব্যাপারে।

আগের রাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদেরকে আপ্যায়িত করতে গণভবনে ১৮ পদের খাবার রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে অন্যতম ছিল চিজ কেক আর এই খাবারটির ছবিই বেশি এসেছে গণমাধ্যমে। ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের প্রিয় এই খাবারটি। তার জন্য রেডিসন ব্লু গার্ডেন হোটেল থেকে খাবারটি আনা হয়।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, এমনিতে বাজারে চাহিদায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে চকলেট কেক। এরপর চাহিদা আছে প্লাম কেক, ফ্রুট কেক, মিক্সড ফ্রুট কেক, ভ্যানিলা কেক। সেদিক থেকে বেশ পেছানো চিজ কেক। কিন্তু একদিনের মধ্যে চাহিদা বেড়ে যাওয়াটায় বেশ অবাক হয়েছেন বিক্রেতারা।
বেকারি পণ্য বিক্রি হয়-বেইলি রোডের এমন একটি দোকানের বিক্রেতা বলেন, ‘তেমন চাহিদা না থাকায় রাখা হয়না এ কেকটি। তবে কারও কারও কাছে কেকটি পাওয়া যায় কেবল নির্দিষ্ট কিছু ক্রেতার জন্য।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকার হক বেকারিতে চিজ কেক মেলে নিয়মিত। তাই বলে চাহিদা বেশি আছে তা নয়। নির্দিষ্ট কিছু ক্রেতার চাহিদা মেটাতেই রাখা হয় কেকটি।

একই এলাকার আরেক দোকানি মিজানও একই কারণে রাখেন চিজ কেক। তিনি বলেন, ‘আমার কিছু কাস্টমার আছে, যারা এই কেকটা চায়। সব মাল আমার থেকে নেয়, কেকের জন্য আরেক জায়গায় যাইব কেন? তাই রাখি। বেশি রাখা হয় না, চলে না।’ তবে হঠাৎ করে চাহিদা বাড়ার কথাও জানালেন মিজান। জানান, এখন ক্রেতাদেরকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।

‘সারা বছর এই কেকের চাহিদা থাকে না। দোকানে রাখার পর ডেট শেষ হওয়ার পর বেশ কয়েকবার কোম্পানিরে ফেরত দিছি। এখন আর রাখি না। হঠাৎ কইরা কি হইল আইজ আপনে সহ আট-দশ জোন খুঁজল’-বললেন বাংলামোটরের আরেক দোকানি বশির। বাংলামোটর ও ইস্কাটন এলাকার বিভিন্ন দোকানিদের বলেন, চিজ কেক বলতে কিছু আছে তা তাদের জানা ছিল না। কিন্তু ক্রেতারা হঠাৎ চাইছেন।

দোকানি মামুন বলেন, ‘যে জিনিস লাগে না, কেউ চায় না, তা চিনব কীভাবে? আমার দুইটা কাস্টমার আছে, তাগো লাগে আমি তিন, চাইরডা আনাইয়া রাখি। আইজ নামাজের পর দোকানে আইয়া দেখি কেক নাই। ভাবলাম ঐ কাস্টমাররা নিয়া গেছে, পরে ছেলে কইল, অন্য কাস্টমার নিছে, আবার আপনেও চাইতাছেন।’ ‘চাহিদা এমনেই বাড়ে। কিন্তু আস্তে আস্তে বাড়ে, এইডা দেখি হুট কইরা বাড়ল। ভাল, আমগো ব্যবসা ভাল হইব।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!