• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হাইকোর্টে পৌঁছেছে খালেদার রায়ের নথি


আদালত প্রতিবেদক মার্চ ১১, ২০১৮, ০২:৩৮ পিএম
হাইকোর্টে পৌঁছেছে খালেদার রায়ের নথি

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর ঘোষিত রায়ের নথি হাইকোর্টে পৌঁছেছে।

রোববার (১১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নথিটি এসে পৌঁছেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিম্ন আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন বলেন, পাঁচ হাজার ৩৭৩ পৃষ্ঠার নথি পুলিশ পাহারায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে। 

ফলে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ প্রদানের বিষয়টি সুগম হলো।

নথি না পৌঁছানোর কারণে সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে সোমবার আদেশ দেয়ার কথা জানান।

ঢাকার পঞ্চম বিশেষ আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আক্তারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির সবাইকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ অর্থদণ্ডের টাকা প্রত্যেককে সমান অঙ্কে প্রদান করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। রায়ের পর থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।

বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল আবেদনে নিম্ন আদালতের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ৪৪টি যুক্তি দেখানো হয়। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালতের দণ্ড স্থগিত চাওয়া হয়।

এ ছাড়া ৩২টি যুক্তি দেখিয়ে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন দেয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর বয়স ৭৩ বছর। তিনি শারীরিকভাবে বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। তিনি ৩০ বছর ধরে গেঁটেবাত, ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিস, ১০ বছর ধরে উচ্চরক্তচাপ ও রক্তে আয়রন ঘাটতিতে ভুগছেন।

২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের দেয়া জরিমানার আদেশও স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য রাখেন আদালত। আদেশে এ মামলায় বিচারিক আদালতের নথি তলব করে ১৫ দিনের মধ্যে তা হাইকোর্টে পাঠাতে সংশ্লিষ্ট আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষে আদালত বলেন, বিচারিক আদালতের নথি আসার পর আদেশ দেবেন।

গত বৃহস্পতিবার ১৫ দিনের মধ্যে নথি পাঠানোর সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টের নজরে আনেন। পরে আদালত জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্য করেন। কিন্তু রোববার সকালে নথি না পৌঁছায় জামিনের বিষয়ে সোমবার আদেশের দিন ধার্য করেন আদালত।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!