বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি, শীতকালীন ছুটি, ঈদুল ফিতরের ছুটি, ঈদুল আযহার ছুটি,পূজার ছুটিসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসের ছুটি একই সময়ে হয় না।
একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক, তার স্ত্রী মাদ্রাসার শিক্ষক, তার এক ছেলে হাইস্কুলে পড়ে, এক মেয়ে কলেজে পড়ে, তো গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন, ঈদের ছুটিতে ছেলে মেয়ে তাদের বাবা মায়ের সাথে মামা বাড়িতে বেড়াতে যেতে চায় কিন্তু তা কোনক্রমেই সম্ভব নয়, একজনের ছুটি শুরু তো আরেকজনের ছুটি শেষ।
কেন একই ক্যাম্পাসে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন ছুটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়? গ্রীষ্মকাল, শীতকাল, ঈদ কি একেক প্রতিষ্ঠানে একেক সময়ে আসে?
সারা দেশে ভিন্ন সময়ে তো গ্রীষ্মকাল, শীতকাল, ঈদ আসে না?
এ বছর ঈদুল আযহা হাইস্কুলের ছুটি ১০ দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ দিন আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাত্র ৫ দিন। কেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে সকল বিষয়ে এত বৈষম্য?
কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত নিবেদন সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্ত: সম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেজি, মাদ্রাসা, হাইস্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন, ঈদ, পূজার এবং অন্যান্য সকল প্রকার ছুটির অভিন্ন তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা সময়ের দাবি।
কিশোর কিশোরীদের নৈতিকতা অবক্ষয় রোধে সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে পরিবারের সাথে থাকা আবশ্যক তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিন্ন ছুটি হওয়া আবশ্যক।
এ ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিন্ন ছুটিতে সরকারের কোন বাড়তি অর্থের প্রয়োজন পড়বে না।
সহকারী শিক্ষক
সোনালীনিউজ/এইচএন
*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।
আপনার মতামত লিখুন :