• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হাজিরা দিলেন অভিনেত্রী নওশাবা


আদালত প্রতিবেদক অক্টোবর ২, ২০১৮, ০৯:৩৭ পিএম
হাজিরা দিলেন অভিনেত্রী নওশাবা

ঢাকা : ছাত্র আন্দোলন নিয়ে ফেসবুক লাইভে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় আদালতে হাজিরা দিলেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমদ।

মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) সকালে মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য তারিখে তিনি ঢাকা মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে এ হাজিরা প্রদান করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এদিন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় আগামী ১৪ নভেম্বর এ আসামির পরবর্তী হাজিরা এবং প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ঠিক করেছেন।

এর আগে মামলাটিতে গত ৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে নওশাবাকে আটক করে র‌্যাব। এর পর গত ৫ আগস্ট ৪ দিন এবং ১০ আগস্ট ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১৩ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর গত ২০ আগস্ট ঈদুল আজহার আগের দিন ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার জামিন নামঞ্জুর করলে তিনি কারামুক্ত হন।

নওশাবার মামলায় বলা হয়, এ আসামি নিজের মোবাইল হতে নিজের ফেসবুক আইডিতে গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে উত্তরার ১৩ নং সেক্টরের ৪ নং রোডের ২ নং বাড়ি হতে অত্যন্ত আবেদনময়ী কন্ঠে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করে বলেন, ‌‘আমি কাজী নওশাবা আহমেদ, আপনাদের জানাতে চাই, একটু আগে জিগাতলায় আমাদের ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা সবাই একসাথে হোন। প্লিজ ওদেরকে প্রটেকশন দেন। বাচ্চাগুলো আনসেভ অবস্থায় আছে। প্লিজ আপনারা রাস্তায় নামেন।

প্লিজ আপনারা রাস্তায় নামেন এবং ওদের প্রটেকশন দেন। এটা আমার রিকোয়েস্ট। আমি এদেশের একজন মানুষ, নাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে রিকোয়েস্ট করছি যে, জিগাতলায় একটু আগে একটি স্কুলে একটি ছেলের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে।

একটু আগে ওদেরকে এট্যাক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা সেটা করেছে। প্লিজ প্লিজ ওদেরকে বাঁচান। তারা জিগাতলায় আছে। আপনারা এখনই নামবেন। আপনাদের বাচ্চাদেরকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান। এটা আমার রিকোয়েস্ট। যে পুলিশরা আছে, তারা অবশ্যই বাচ্চাদের প্রটেকশন দেন। আপনারা প্লিজ কিছু একটা করেন। সরকার যদি দায়িত্ব নিতে না পারে। তাহলে জনগণ কিসের জন্য আছেন আপনারা। আমরা ৭১ এ পেরেছি, ৫২ তে পেরেছি এবারও পারবো।

আমাদের দরকার নাই কাউকে।’তার এই আহ্বান মুহুর্তের মধ্যে দেশি বিদেশি সামাজিক ও ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে ভাইরাল হয় ফলে জনমনে আতঙ্ক ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা তার এই মিথ্যা প্রপ্রাগন্ডার উৎস জানার জন্য ফোন করলে সে তার সপক্ষে সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেন নাই। প্রকৃতপক্ষে ওই সময় জিগাতলায় ওই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে নাই। সে ইচ্ছাকৃতভাবে ও পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের ভাবমূতি ক্ষুণ্ন করার জন্য এবং জনসাধারণের অনিুভূতিতে আঘাত করার জন্য এরূপ মিথ্য ও মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!