• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হারের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে মাহমুদউল্লাহর খুলনা


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৯, ২০১৯, ১০:২৬ পিএম
হারের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে মাহমুদউল্লাহর খুলনা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না খুলনা টাইটান্স। শনিবার সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচেও দলটি চিটাগাং ভাইকিংসের কাছে ২৬ রানে হেরে গেছে। চিটাগাংয়ের ২১৪ রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে খুলনাকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৮ রানে থামতে হয়েছে।

ইনিংস সর্বোচ্চ ৫০ রান করেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তিনি মাত্র ২৬ বলে এই রান করেছেন। তিন চারের বিপরীতে মাহমুদউল্লাহ ছক্কা মেরেছেন চারটি। এছাড়া ডেভিড উইজে ২০ বলে ৪০, ব্রেন্ডন টেলর ১৬ বলে করেন ২৮ রান। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন খালেদ আহমেদ ও ক্যামেরন ডেলপোর্ট।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে চিটাগাং ভাইকিংস ২১৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায়। এটাই এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ স্কোর। শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনা টাইটান্স অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১৩ রান করে চিটাগাং ভাইকিংস।

এরপর খোলস থেকে বেরিয়ে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে গিয়ে উইকেট হারান চিটাগাংয়ের দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট। দলীয় ১৭ রানে শরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন তিনি। ব্যাটিংয়ে নামা ইয়াসির আলীকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান চিটাগাংয়ের আফগানিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। প্রথম ৯ বলে তিন রান করা এই ওপেনার, চতুর্থ ওভারে শরিফুলের বলে দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান।

এরপর পঞ্চম ওভারে এক বল খেলার সুযোগ পেয়ে বাউন্ডারি হাঁকান শুভাশীষ রায়কে। ঠিক পরের ওভারে তাইজুল ইসলামকে পরপর দুই ছক্কা হাঁকান শাহজাদ। ঠিক পরের বলে উইকেটকিপার ব্রেন্ডণ টেলরের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন চিটাগাংয়ের এই ওপেনার। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ১৭ বলে তিন চার ও সমান ছক্কায় ৩৩ রান করেন শাহজাদ।
৫৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর চিটাগং প্রতিরোধ গড়েছে মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলীর জুটিতে। তারা দু'জনেই তুলে নেন ফিফটি। চলতি বিপিএলে প্রথম ফিফটি করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন ইয়াসির। অন্যদিকে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়ে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৩ রানের জুটি গড়েন তারা।

৩৬ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় ৫৪ রান করে ডেভিড ওয়াইজের বলে ক্যাচ তুলে ফেরেন ইয়াসির। এর আগে দুই ম্যাচ খেলে ৪১ ও ৪ রান করেন চিটাগাংয়ের এই স্থানীয় ক্রিকেটার। ডেভিড ওয়াইজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩৩ বলে আট চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করেন মুশফিকুর রহিম। এর আগের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ী ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম।

মুশফিকের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন সানাকা। তাকে সঙ্গ দেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। শেষ পর্যন্ত সানাকা মাত্র ১৭ বলে ৪২ এবং নাজিবুল্লাহর ৫ বলে ১৬ রানের কল্যানে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান তুলতে সমর্থ হয় চিটাগাং ভাইকিংস। এটি বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রান।

চলতি আসরে মোটেও সুবিধা করতে পারছে না রুপসা পড়ের দলটি। ঢাকা পর্বে তো জয়ের মুখই দেখেনি মাহমুদউল্লাহরা। সিলেটে পর্বে প্রথম জয়ের দেখা পায় খুলনা। তবে সেই ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি খুলনার খেলোয়াড়রা। ঢাকায় মুশফিকের চিটাগংয়ের বিপক্ষে প্রথম মোকাবিলায় হেরেছিল খুলনা। প্রথম লড়াইয়ে সুপার ওভারে জিতেছিল চিটাগং। ৭ ম্যাচে মাত্র ১ জয়ে সবার শেষে তারা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!