• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

হার্ডবোর্ড ছুঁড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মাথা ফাটিয়ে দিলেন শিক্ষক


মাদারীপুর প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০, ০২:০৪ পিএম
হার্ডবোর্ড ছুঁড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মাথা ফাটিয়ে দিলেন শিক্ষক

মাদারীপুর: এসএসসি পরীক্ষার্থীর মাথা ফাটিয়ে ফেলেছেন হার্ডবোর্ড ছুঁড়ে মেরে কেন্দ্রে দায়িত্বরত এক শিক্ষক। 
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)সকাল পৌনে ১০টার দিকে মাদারীপুরে আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। পরে কেন্দ্র সচিব অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, সকাল পৌনে ১০টার দিকে আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাকিং বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন রাকিবুল মৃধাসহ অন্য পরীক্ষার্থীরা। এসময় রাকিবুল মৃধা উত্তরপত্র সম্পূর্ণ করছে না অভিযোগে ওই কক্ষের শিক্ষক পরিদর্শক আবুল হোসেন তার ওপর ক্ষেপে যায়।

এক পর্যায়ে রাকিবুলের দিকে শিক্ষার্থীর ব্যবহৃত হার্ডবোর্ড ছুঁড়ে মারেন। এতে হার্ডবোর্ডের লোহার পাতের আঘাতে রাকিবুলের মাথা ফেটে রক্ত ঝড়তে থাকে। পরে অন্য শিক্ষকরা দ্রুত এগিয়ে এসে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। এতে প্রায় আধ ঘণ্টা পরে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এই ঘটনায় কেন্দ্র সচিব মো. হুমায়ন কবির তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেনকে সকল প্রকার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীর অভিবাবক ও স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। 

আহত শিক্ষার্থী মাদারীপুর পৌর শহরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সে সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি গ্রামের জব্বার মৃধার ছেলে। আর অভিযুক্ত শিক্ষক আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের খন্ডকালিন ইংরেজি শিক্ষক। এই ঘটনার পর ওই কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেন জানান, আমি ইচ্ছে করে ওই শিক্ষার্থীকে হার্ডবোর্ড নিক্ষেপ করেনি। ওই ছাত্রকে বারবার বলার পরও উত্তরপত্রের ওয়েমার ঠিক করছিল না। পরে তার হার্ডবোর্ড রাগ হয়ে ছুঁড়ে মারলে মাথা কিছুটা কেটে গেছে। এজন্য আমি আত্মরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

কেন্দ্র সবিচ মো. হুমায়ন কবির বলেন, আমি তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষককে সকল প্রকার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। ওই শিক্ষক আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের খন্ডকালিন শিক্ষক। তাকে ওই স্কুল থেকেও অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হবে।

সোনালীনিউজ/টিআই

Wordbridge School
Link copied!