• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হোয়াটসঅ্যাপে প্রেম, তরুণীর সঙ্গে ৭৫ বয়সী মেয়রের কাণ্ড!


নিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ১৭, ২০১৯, ১১:১১ এএম
হোয়াটসঅ্যাপে প্রেম, তরুণীর সঙ্গে ৭৫ বয়সী মেয়রের কাণ্ড!

ঢাকা: বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবার পরিজন-বন্ধুমহলের সঙ্গে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা মুহূর্ত আমরা সামাজিক মাধ্যমে ভাগাভাগি করে নিই।

পাশাপাশি শিক্ষা এবং ব্যবসায়িক কাজেও ব্যাপকভাবে এগুলোর ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল আমরা। সামাজিক প্রয়োজন এবং জনমত-জনসচেতনতা তৈরিতেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে।

এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়, প্রেম এরপর বিয়ে। এটাও এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তবে এই মাধ্যমগুলোতে কিছু অবাক করার মত ঘটনাও ঘটে। তেমনি এক গল্প আজ পাঠকদের সামনে তুলে ধরবো।

গল্পটা হলো- নিজের চেয়ে ৪ দশকের অর্থাৎ ৪০ বছরের ছোট নাতনির বয়সী ফিলিপাইনের এক যুবতীকে বিয়ে করেছেন ইংল্যান্ডের ফেনল্যান্ড শহরের ৫ বারের ডেপুটি মেয়র কিট ওয়েন (৭৩)। তিনি বিপত্নীক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসটাইম ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ফিলিপাইনের যুবতী আইজা’র সঙ্গে তার পরিচয়। এক বছরের মাথায় সেই পরিচয় থেকে তাদের বিয়ে। আইজা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বৃটেনে চলে যান। সেখানেই তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন কিট ওয়েন। অসম এই বিয়ের খবর প্রকাশ করেছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল।

কিট ওয়েনের বয়স ৭৩ বছর। সব কথা অনেক দিন মনে রাখতে পারেন না সে। তবে তার নতুন স্ত্রী আইজাকে যে ইন্টারনেটে খুঁজে পেয়েছেন সেটা কিন্তু তার ঠিকই মনে আছে। তবে কিভাবে তাকে প্রেমের বা বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা স্মরণ করতে পারেন না তিনি।

তবে এ দম্পতি খুব সুখে আছেন বলে ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

মার্চ ইন কেমব্রিজশায়ারের ৭৫ বছর বয়সী কিট ওয়েন তার নতুন স্ত্রীর বয়স প্রকাশ করতে চান না। তবে এতটুকু বলেছেন তার বয়স ত্রিশের কোটায়। ফেসটাইম ও হোয়াটসঅ্যাপে পরিচয় হবার পর কথা বলতে বলতে যখন ওয়েনের মনে হয়েছে সব কিছু ঠিক ঠাক আছে। তখন সে সিদ্ধান্ত নেয় আইজা’র সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করার। এরপর আইজা’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তিনি চলে যান ফিলিপাইনে। এর আগে এক বছরের মধ্যে দু’জনের কারো সঙ্গে কোনো সাক্ষাৎ হয়নি।

ফিলিপাইনে গিয়ে আইজা’র পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটান ওয়েন। এই সময়টাই আইজা’র সঙ্গে ওয়েনের কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি। পরে আইজা’কে বিয়ের প্রস্তাব দেন ওয়েন। রাজিও হয়ে যায় আইজা। ব্যাস, সব ঠিকঠাক। এরপর টুরিস্ট ভিসায় বৃটেনে যান আইজা। সেখানে কিট ওয়েনের বাড়িতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিয়ের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় ইয়ে ওল্ডি গ্রিফিন হোটেলে। প্রথম দিনটি কিভাবে কাটছে তাদের সেটা ক্যামেরাবন্দি করার জন্য ওৎ পেতে ছিলেন ফটোশিকারিরা। কিন্তু সেক্ষেত্রে কিট ওয়েন পর্দা টেনে দেন। তার বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন পারিবারিক ও ঘনিষ্ঠ মাত্র ১০ জন সদস্য। কোন নাচ বা অন্য কোনকিছু ছিল না তাতে।

কিট বলেন, তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে শুধু খাবার ছিল। কিছু পানীয় ছিল। কোনো নাচ হয়নি। সামনের মে মাসে আবার মার্চ টাউন কাউন্সিলের নির্বাচন। তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ওয়েন। কিট ওয়েনের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর নাম বেভারলি ওয়েন। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। নাম লিসা ও জোনাথন। তবে এ সন্তান দুটির মা বেভারলি মারা যান ২০০৮ সালে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!