• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

১১, ১২ গ্রেড নিয়ে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কেন একথা বলবেন?


সোনালীনিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ৮, ২০২০, ০৫:০০ পিএম
১১, ১২ গ্রেড নিয়ে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কেন একথা বলবেন?

ঢাকা: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের দুটি ধাপে বেতন বাড়ানো হয়েছে। শিগগিরই প্রধান শিক্ষকদের আরও এক ধাপ গ্রেড উন্নীত করা হবে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) গোপালগঞ্জে মিড-ডে-মিল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের ১৬টি উপজেলায় একযোগে মিড-ডে-মিল উদ্বোধন করা হয়।

আরও পড়ুন: প্রধান শিক্ষকদের ১১ ও সহকারীদের ১২ গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চিত করতে ও ঝরে পড়ার হার নির্মূলে মিড-ডে-মিল কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের ১৬টি উপজেলার ২ হাজার ১৬৬ বিদ্যালয়ের ৪ লাখ ১০ হাজার ২৩৮ শিক্ষার্থীকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে।

এর অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৩৩টি বিদ্যালয়ে কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড- ডে-মিল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

আরও পড়ুন: প্রাথমিকে সরকারি ছুটি শনিবার যেসব যুক্তিতে

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের মধ্যে নানা ধরনের অসন্তোষ রয়েছে। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় তারা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমরা তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করছি।

ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের ১১ গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১২ গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেয়া হবে।

অবশ্য বৈঠকের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রী সহকারীদের ১২তম গ্রেড নয় ১৩তম গ্রেডের কথা বলেছেন।

আরও পড়ুন: প্রাথমিকের ক্লাস শিক্ষকদের নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে সরকার

বিশেষ অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে শতভাগ ছেলেমেয়ে স্কুলে ভর্তি হচ্ছে। বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যের বই বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ ও প্রতিটি শিক্ষার্থীর মায়েদের হাতে উপবৃত্তি বাবদ অর্থ তুলে দেয়া হচ্ছে।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সোহেল আহমেদ, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, রাজনীতিবিদ, স্কুল প্রতিনিধি সদস্যরা।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের এমন বক্তব্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর এ বক্তব্যের বিরোধিতা করছেন। কেউ বলছেন এটি বছরের সেরা কৌতুক।

বিশেষ করে প্রাথমিকের বিভিন্ন গ্রুপে প্রতিমন্ত্রীর এ বক্তব্য নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা।

হারুন রশীদ নামে একজন লিখেছেন, 'বুঝলাম না!!! কবে ১২ তম গ্রেড এ উন্নিত হয়ে গেলাম...!!!( "প্রাথমিক শিক্ষকরা ৩৮ ০০০ টাকা বেতন পায়" পূর্বের বানী।)'

নাকুল দাস লিখেছেন, 'কবে থেকে ১২তম দেওয়া হলো,এখনোতো কেউ পেল না।'

আলমগীর হোসাইন লিখেছেন, 'প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে এত মিথ্যা কথা না বললেই পারেন।'

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!