• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১২ বিয়ে করা স্বামীর বিচার চাইলেন স্ত্রীরা


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০, ০৫:৫৮ পিএম
১২ বিয়ে করা স্বামীর বিচার চাইলেন স্ত্রীরা

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের সখীপুরে শফিকুল ইসলাম (৪০) নামে এক মাইক্রোবাস চালকের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ১২টি বিয়ের অভিযোগ উঠেছে।

গত সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) তার বর্তমান পাঁচ স্ত্রীর মধ্যে তিন স্ত্রী সখীপুর থানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রেসক্লাব ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এতে প্রতারক স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে, বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে মারধর, বিভিন্ন কৌশলে স্ত্রীদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ, মুখ খুললে হত্যার হুমকিসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। তিন স্ত্রী শফিকুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

জানা যায়, উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের শোলাপ্রতীমা দক্ষিণপাড়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে মাইক্রোবাস চালক শফিকুল ইসলাম। ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর তিনি মধুপুর উপজেলার ১নং কুড়ালিয়া ইউনিয়ন কাজী অফিসে ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে বিউটি আক্তারকে বিয়ে করেন। এর আট মাস পর ২০১৯ সালের ৫ জুলাই দুই লাখ টাকা দেনমোহরে প্রতারক শফিকুল ইসলাম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ৫,৬,৭ ও ৯নং ওয়ার্ড কাজী অফিসে গাজীপুরের ভাওরাইদ গ্রামের রফিজ উদ্দিনের মেয়ে খোদেজা আক্তারকে বিয়ে করেন। এর পাঁচ মাস পর ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর তিন লাখ টাকা দেনমোহরে টাঙ্গাইল পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড কাজী অফিসে সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান গ্রামের আক্কাস আলীর মেয়ে আকলিমা আক্তারকে বিয়ে করেন।

এছাড়াও শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে সুমি, আঁখি, খালেদা, শিল্পী, কহিনুর, ফেরদৌসী এবং শরীফা আক্তারসহ আরও নারীকে একাধিক বিয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগকারী বিউটি, খোদেজা ও আকলিমা আক্তার বলেন, শফিকুল প্রতারণা করে একে একে ১২টি বিয়ে করেছে। বর্তমানে আমরা তিনজনসহ তার পাঁচজন স্ত্রী রয়েছে। তারা প্রতারক শফিকুলকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এদিকে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একাধিক বিয়ে করার কথা স্বীকার করেছেন।

লিখিত অভিযোগ পাবার কথা স্বীকার করে সখীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বদিউজ্জামান জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সখীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন উপজেলা শাখার সভাপতি জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু বলেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!