• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ আটকে যাচ্ছে


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০, ১২:১৬ পিএম
১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ আটকে যাচ্ছে

ঢাকা : বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় চক্রের গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে তৈরী হয়েছে অনিশ্চয়তা। সব কিছু গোছানো থাকলেও ১৩ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরিক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মামলার রায় প্রকাশের ফলে এই অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছে। এজন্যই খুব শিঘ্রই তৃতীয় চক্রের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হচ্ছে না বলে এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে।

এনটিআরসিএ সূত্রে জানা যায়, ১৩ তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা হাইকোর্টে একক নিয়োগের জন্য মামলা করলে কোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়। পরে এনটিআরসিএ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে শুনানী শেষে আদালত আবারো ১৩ তমদের পক্ষে রায় দেয়। সেখানে রিটকারীদের নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

একই সাথে জাতীয় মেধাতালিকা তৈরী করে নিয়োগ ও ১৩ তম রিটকারীদের নিয়োগ দিতে বলায় এনটিআরসিএ এই রায়ের রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সপ্তাহে তারা কোর্টে আর্জি পেশ করবেন। সেক্ষেত্রে রিভিও এর রায়ের আগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে মনে করেন এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা। ফলে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে তৈরী হয়েছে অনিশ্চয়তা।

এব্যাপারে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আকরাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা একক নিয়োগের দাবিতে আদালতে রিট করেছিল। আমরা সেই রিটের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলাম। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। সেখানে ১৩তম নিবন্ধনধারীদের পক্ষে রায় দেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে ১-১২তম এবং ১৪ ও ১৫তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা বঞ্চিত হবেন।

আকরাম হোসেন বলেন, এর আগে হাইকোর্ট মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের কথা বলেছিল। আমরা এই দুইটি রায় একত্রিত করে আমাদের অ্যাডভোকেটের মাধ্যমে একটি আর্জি দেব। আদালত থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা পাওয়ার পরই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ শুরু হবে। এ সময় আগামী সাতদিনের মধ্যে আদালতে আর্জি দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।

নিবন্ধন সনদধারী শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করছে এনটিআরসিএ
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের তালিকা সংগ্রহ করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কতৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। নিবন্ধন সনদধারী কতজন শিক্ষক কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে তার তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের।

সনদধারী শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহের উদ্দ্যশ্যেই এই তালিকা করছে বলে এনটিআরসিএ সুত্রে জানা গেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০০৫ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কমিটির মাধ্যমে যেসব শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছে তাদের তালিকা হালনাগাদ করার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য ২০১৬ সাল থেকে এনটি আরসিএ এর মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় তার আগে কমিটির মাধ্যমেই শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতো।

২০১৬ সালের আগে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের তালিকা আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে হার্ডকপি ও সফটকপি পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের পরে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তালিকা এনটিআরসিএর কাছে আছে।

২০০৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অনেক শিক্ষক জাল সনদ নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে। কিন্তু বৈধ সনদ নিয়েও অনেকেই চাকরি পাচ্ছেন না। এসব অবৈধ শিক্ষকদের চিহ্নিত করা দাবী জানিয়ে আসছে সনদধারী প্রার্থীরা।

উল্লেখ্য সারাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৭ হাজারেরও বেশি শুন্যপদ আছে। এসব শুন্য পদের শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে কার্যক্রম প্রায় শেষ করে এসেছে। নিবন্ধিত শিক্ষকরাও দীর্ঘদিন থেকে গণবিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় আছে।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!