• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা

১৪ বছরের অপেক্ষার অবসান আজ


বিশেষ প্রতিনিধি অক্টোবর ৯, ২০১৮, ১০:০৭ পিএম
১৪ বছরের অপেক্ষার অবসান আজ

ঢাকা : বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুই মামলার রায় ঘোষণা হবে বুধবার (১০ অক্টোবর)। নৃশংস এই ঘটনার প্রায় ১৪ বছর পরে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়।

পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত আজ বুধবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক রেখেছেন।

এদিকে গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশের নিরাপত্তা জোরদার করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রায়কে ঘিরে যাতে কোনো ধরনের নাশকতা না ঘটে সে জন্য প্রত্যেক জেলা ও মহানগর পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় মাঠে রাখা হয়েছে।

পুলিশ সদর দফতর ও বিভিন্ন জেলার পুলিশ কর্মকর্তা এবং বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই  রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়িতে তল্লাশী  শুরু করেছে পুলিশ। এছাড়া ঢাকাসহ সারাদেশে সতর্ক অবস্থায় মাঠে আছে র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা।

এদিকে গ্রেনেড হামলা মামলায় ন্যায়বিচার চেয়ে মঙ্গলবারের রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই। আমি নিজেও ওই হামলায় আহত হয়েছি। আমাদের নেত্রীর একটা কানের শ্রবণ শক্তি চলে গেছে। আইভি রহমানসহ ২৪ জনের প্রাণের প্রদীপ চিরদিনের মতো নিভে গেছে। কাজেই এই ধরণের হত্যাকাণ্ডের বিচার বাংলাদেশে হবে না এই ইমপিউনিটি কালচার গড়ে তুলবো?’ গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি নাশকতার চেষ্টা করলে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

অন্যদিকে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমি হলফ করে বলতে পারি, তারেক রহমান, আবদুস সালাম পিন্টু, লুৎফুজ্জামান বাবর- তারা কেউ ২১ আগস্ট হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না।’

বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ’ নেতা-কর্মী। তাদের অনেকে আজও শরীরে গ্রেনেডের স্পিøন্টার নিয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছেন। আহত ব্যক্তিরাসহ নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা বিচারের অপেক্ষায় আছেন।

শুরু থেকেই নৃশংস ওই হত্যাযজ্ঞের তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে নানা চেষ্টা করা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে তদন্ত শুরু করে। বেরিয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য।

২০০৮ সালের জুনে বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই তাজউদ্দিন, জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি-বি) নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তদন্তে বেরিয়ে আসে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই হামলা চালানো হয়েছিল। হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড এসেছিল পাকিস্তান থেকে।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই এ-সংক্রান্ত মামলার দুটির বিচার শুরু হয়। ৬১ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার এসে এর অধিকতর তদন্ত করে। এরপর বিএনপির নেতা তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী, জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ ৩০ জনকে নতুন করে আসামি করে ২০১১ সালের ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এরপর দুই অভিযোগপত্রের মোট ৫২ আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জনকে পলাতক দেখিয়ে বিচার শুরু হয়। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কয়েকজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, যারা জোট সরকারের আমলে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ও র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন।

সাজানো তদন্ত : গ্রেনেড হামলার দিনই পুলিশ বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করে। পরদিন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মামলা দিতে গেলে পুলিশ তা নেয়নি। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। শুরু থেকেই তদন্তের গতি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করে তৎকালীন জোট সরকার। শৈবাল সাহা পার্থ নামের এক তরুণকে আটক করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। তদন্তের নামে পুরো ঘটনাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হয় সিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে।

ঘটনার গুরুত্ব নষ্ট করতে হামলার শিকার আওয়ামী লীগের দিকেই সন্দেহের আঙুল তুলেছিল বিএনপি। ওই সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও নেতা তাদের বক্তৃতায় আওয়ামী লীগ নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রচার চালান। হামলার সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত বলেও তখন একটা মহল থেকে প্রচারণা চালানো হয়।

ঘটনা তদন্তে ২০০৪ সালের ২২ আগস্ট বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনকে চেয়ারম্যান করে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে চারদলীয় জোট সরকার। সেই কমিশনও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অপপ্রচারের পথ ধরেই চলেছিল। ১ মাস ১০ দিনের মাথায় কমিশন সরকারের কাছে ১৬২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দিয়ে বলে, কমিশনের সংগৃহীত তথ্য-প্রমাণ সন্দেহাতীতভাবে ইঙ্গিত করে, এই হামলার পেছনে একটি শক্তিশালী বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত।

জজ মিয়া নাটক : ঘটনার ১০ মাসের মাথায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীরকোট গ্রামের বাড়ি থেকে জজ মিয়া নামের এক যুবককে সিআইডি আটক করে।

১৭ দিন রিমান্ডে রেখে জজ মিয়ার কাছ থেকে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করে এবং তদন্তের নামে ‘আষাঢ়ে গল্প’ প্রচার করেন মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি আবদুর রশিদ ও তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন। সিআইডির এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনিও সাজানো ছকে কথিত তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যান। এই গল্প সাজানোর ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন বলে পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে।

ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া সেই সাজানো জবানবন্দিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, তিনি আগে কখনো গ্রেনেড দেখেননি; গ্রেনেড ও বোমার মধ্যে পার্থক্য তিনি জানেন না। পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। আর বড় ভাইয়েরা হচ্ছেন সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ, মুকুল প্রমুখ।

এর প্রায় দুই বছর পর ২০০৬ সালের আগস্টে এই নাটকের পেছনের ঘটনা ফাঁস করে দেন জজ মিয়ার মা জোবেদা খাতুন। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জজ মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই সিআইডি তার পরিবারকে মাসে মাসে ভরণপোষণের টাকা দিয়ে আসছে। জজ মিয়াকে গ্রেনেড হামলা মামলায় রাজসাক্ষী করতে সিআইডির প্রস্তাবের কথাও ফাঁস করে দেন তিনি।

সত্য উদঘাটনের শুরু : ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে এ মামলা তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তাতে বেরিয়ে আসে, বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর সহযোগিতায় গোপন জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) জঙ্গিরা শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ওই হামলা চালিয়েছিল।

তদন্ত শেষে সিআইডির এএসপি ফজলুল কবীর ২০০৮ সালের ১১ জুন হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আদালতে দুটি অভিযোগপত্র জমা দেন। তাতে ২২ জনকে আসামি করা হয়। সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু ছাড়া বাকি আসামিদের সবাই হুজি-বির জঙ্গি।

অধিকতর তদন্তের আসামি : ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সিআইডি এ মামলার অধিকতর তদন্ত করে এবং ২০১১ সালের ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। তাতে আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়।

তারা হলেন- তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক সাংসদ শাহ মোহাম্মদ কায়কোবাদ, খালেদা জিয়ার ভাগনে সাইফুল ইসলাম (ডিউক), এনএসআইয়ের সাবেক দুই মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম ও মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার, ডিজিএফআইয়ের মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (বরখাস্ত) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, পুলিশের সাবেক তিন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদা বকশ চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি খান সাইদ হাসান ও মো. ওবায়দুর রহমান, জোট সরকারের আমলে মামলার তিন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান ও এএসপি আবদুর রশিদ, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ ও হুজি-বির ১০ জন নেতা।

আসামিদের মধ্যে পুলিশের সাবেক ছয় কর্মকর্তা, খালেদা জিয়ার ভাগনে সাইফুল ইসলাম ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুর রহমান ছিলেন। আদালত রায়ের দিন ধার্য করলে ওই দিন তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান আদালত। বাবর, পিন্টুসহ ২৩ জন আসামি কারাগারে আছেন। পলাতক রয়েছেন ১৮ জন। আরেক আসামি জামায়াত নেতা মুজাহিদ, মুফতি হান্নানসহ তিন আসামির অন্য মামলার রায়ে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

গ্রেনেড হামলায় সরাসরি জড়িত ও আসামি ফরিদপুরের মাহাবুব মুস্তাকিম ও আনিসুর মুরসালিন। এই দুই ভাই দীর্ঘদিন ভারতের নয়াদিল্লির তিহার কারাগারে আছেন। ভারত থেকে গত সাত বছরেও এই দুই আসামিকে ফিরিয়ে আনতে পারেনি সরকার।

রায় ঘিরে নিরাপত্তা : রায়ের পর বিএনপি ও জামায়াত কর্মীরা হামলা-নাশকতা ঘটাতে পারে এমন আশঙ্কায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, যাদের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হবে ওইসব পরিবারের সদস্যরা বা তাদের অনুসারীরা কোথাও কিছু ঘটায় কিনা সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এই রায়কে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর কিছু ঘটতে পারে সম্ভাব্য এমন কিছু এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, রায়কে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে পুরো রাজধানী। বিশেষ করে মিরপুর, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, লালবাগসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পুলিশ আসামিদের পরিবারগুলোর প্রতি বিশেষ নজর রেখেছেন। তারা কি করছে, কাদের সাথে কথা বলছেন, তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি তাদের ফোনকলেও নজর রাখা হচ্ছে।

ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় হামলা ও নাশকতা ঠেকাতে পুলিশের বিশেষ প্রস্তুতি রয়েছে। সাতক্ষীরা, দিনাজপুর, রাজশাহী, ঝিনাইদহ, লক্ষীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর, লালমনিরহাটসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা যায়, দুই সপ্তাহ আগে, পুলিশ সুপার ও মেট্রোপলিটন কমিশনারদেরকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে কোথাও কেউ কোনো বিশৃঙ্খলা করতে না পারে।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, রায়কে ঘিরে দেশের কোথাও কোনো কিছু ঘটবে না। রায়ের পর সাধারণ মানুষ উল্লাস করবে। এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। বাংলার মানুষ অনেক দিন অপেক্ষা করেছে এই রায়ের জন্য। রায় ঘিরে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে তাহলে জনগণ তার উচিত জবাব দেবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!