• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

১৫ লাখ টাকার ‘বিন লাদেন’ কিনলে ষাঁড় ফ্রি


দিনাজপুর প্রতিনিধি জুলাই ৮, ২০২০, ০৯:০১ পিএম
১৫ লাখ টাকার ‘বিন লাদেন’ কিনলে ষাঁড় ফ্রি

দিনাজপুর: বিন লাদেনকে কে না চেনেন? তালেবান হিরো হিসেবে আলোচনায় আসা এই মানুষটির জঙ্গি সম্পৃক্ততার গল্প ও ভয়াবহ হামলায় নিহত হওয়ার ঘটনাও বেশ পুরনো। তবে সম্প্রতি দিনাজপুরের হিলিতে আলোচনায় এসেছে আরেক ‘বিন লাদেন’।

তবে মানুষ নয়, নিতান্তই নিরীহ ব্রাহামা জাতের গরু এটি। পেলে পুষে বড় করে কোরবানির ঈদের জন্য এই গরুর দাম ১৫ লাখ টাকা হাঁকছেন মাহফুজার রহমান বাবু নামে এক খামারি। গরুটির নাম ‘বিন লাদেন’ রেখেছেন তিনিই।

এটির ওজন প্রায় ১১০০ কেজি বলে জানিয়েছেন হিলির ছাতনি গ্রামের এই খামারি। তার দাবি এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় আকারের গরু এটি। সাড়ে ৮০০ কেজির ওজনের আরেকটি গরুও ঈদ উপলক্ষে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন তিনি। এটির দাম রাখা হয়েছে ১২ লাখ টাকা।

কাঙ্ক্ষিত দামে বিন লাদেন নামের ষাড় গরুটি বিক্রি হলে ক্রেতাকে ফ্রি হিসেবে দেশীয় ছোট আকারের একটি ষাঁড় গরু উপহার দেবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত কোনও সাড়া না মেলায় চিন্তিত মাহফুজার। 

সাদা কালো বর্ণের ব্রাহমা জাতের বিন লাদেনের উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, লম্বা ১১ ফুট ৬ ইঞ্চি। আর লাল কালো বর্ণের ছোট আকারের গরুটির উচ্চতা ৬ ফুট, লম্বা ৯ ফুট।

খামারি মাহফুজার রহমান বাবু বলেন, চার বছর আগে স্থানীয় প্রাণী সম্পদ অফিসের মাধ্যমে নেওয়া ব্রাহমা জাতের বীজে খামারের গাভী থেকে জন্ম নেয় ব্রামহা জাতের গরুটি। একই সময় বাজার থেকে ক্রস করা পাকিস্তানি জাতের একটি বাছুর কিনি ৫০ হাজার টাকায়। এরপর থেকেই সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতি ও প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে যত্ন সহকারে ষাঁড় দুটিকে লালন পালন করে আসছি। আকারে বড় হওয়ায় ব্রাহমা জাতের ষাঁড়টির নাম দিয়েছি বিন লাদেন। অন্যটির কোনও নাম দেইনি। ওজনে কম হলেও এটিও দেখতে বেশ আকর্ষণীয়।

তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত গরু দুটির পেছনে তার ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। করোনার কারণে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে সংশয় থাকায় খুব বেশি গরু প্রস্তুত করেননি এবার।

সারাদেশের সবচে বেশি ওজনের গরুরগুলোর মধ্যে বিন লাদেন থাকবে বলেও বিশ্বাস তার। এই খামারি জানান, গরু বিক্রির বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটে ষাঁড় দুটির ছবি দিয়েছেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত তেমন সাড়া পাননি। অবশ্য নিরাশ হচ্ছেন না। তার প্রত্যাশা, ঈদের ১৫-২০ দিন আগে নিশ্চয় সাড়া পাবেন। তবে অনলাইনে বিক্রি করতে না পারলে ঢাকার বাজারে গরুদুটোকে তুলবেন তিনি।

খামারের শ্রমিক লুৎফর রহমান বলেন, বড় আকারের এই ষাঁড় গরু দুটি বেশ শান্ত প্রকৃতির। মানুষ দেখলে তেড়ে আসে না। যে কেউ গরু দুটির কাছে যেতে পারে। দিনে ৫ কেজি করে ভুষি, ৩ ডালি করে ঘাস ও খড় খাওয়ানো হয় তাদের। অত্র অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু হওয়ায় প্রতিদিন অনেক মানুষ গরু দুটিকে দেখতে আসেন। অনেকে ছবি তুলে নিয়ে যান।

হাকিমপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে একেবারেই প্রাকৃতিক ও নির্ভেজাল পদ্ধতিতে ষাঁড় দুটিকে লালন পালন করা হয়েছে। দেখতে একেবারেই দৃষ্টিনন্দন।

তিনি আরও বলেন, এবারের কোরবানির ঈদে গরুর খামারিদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মার্কেটিং। এই ধরনের ষাঁড় বা দামি গরুগুলো সাধারণত ঢাকাসহ বাইরের ক্রেতারা কিনে থাকেন। আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে চেষ্টা করছি আগ্রহী ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!