• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১৬ জুলাই গণতন্ত্রের বন্দি দিবস


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ২০, ২০১৯, ১২:২৪ পিএম
১৬ জুলাই গণতন্ত্রের বন্দি দিবস

ঢাকা : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৬ জুলাই শেখ হাসিনার বন্দি দিবস নয়, গণতন্ত্রের বন্দি দিবস।

শুক্রবার (১৯ জুলাই) সেগুনবাগিচায় ‘স্বাধীনতা হল’-এ বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন চালিয়েছিল বিএনপি। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারা ন্যায় প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিল। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছিল।

কিন্তু আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখলাম যারা পরপর দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, যে দলের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের সম্মান বিশ্বসভায় ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল, যারা দেশকে সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যের অভয়ারণ্য বানিয়েছিল, হাওয়া ভবন স্থাপন করে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করেছিল, বাংলাদেশকে যারা জঙ্গিদের অভয়ারণ্য তৈরি করেছিল তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এগুলোর বিরুদ্ধে যিনি প্রতিবাদ করেছিলেন, সেই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সেদিন গ্রেপ্তার করা হয়।

কারণ, শেখ হাসিনা হচ্ছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা ও চেতনার অগ্নিবীণা। তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর ছিলেন। সুতরাং, জনগণের কণ্ঠরোধ করার জন্য সেদিন শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে সেদিন ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল। তাই ১৬ জুলাই শেখ হাসিনার বন্দি দিবস নয়, এটি হচ্ছে গণতন্ত্রের বন্দি দিবস।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পারবে, সেটা কি কেউ ভেবেছিল? খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো পদ্মা সেতু করতে পারবে না। অথচ পদ্মা সেতু আজকে দৃশ্যমান। আর কদিন পরেই পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলবে।

খালেদা জিয়া এও বলেছেন, পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে বানানো হচ্ছে। সেতু তো জোড়াতালি দিয়েই বানানো হয়। একেকটি স্প্যান আলাদা আলাদা করে বসাতে হয়। এটি তো বাড়ির ছাদ নয়, একবারে ঢালাই করে দেবে। এই জ্ঞান যাদের নাই, তারা আবার দেশ চালাবার কথা বলে।

‘সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের কিছু মানুষের পকেট ভারী হচ্ছে’, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে উনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন দেশের উন্নয়ন না করে তাদের পকেট ভারী করেছেন। সে জন্যই তারা এ কথা বলেন। তখন দেশ দুর্নীতিতে পর পর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম খান এবং সভাপতি মো. জিন্নাত আলী জিন্নাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!