• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

১৬ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে হবে কাতার বিশ্বকাপ


ক্রীড়া ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৯:৩৩ পিএম
১৬ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে হবে কাতার বিশ্বকাপ

ঢাকা: ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসর অনুষ্ঠিত হবে কাতারে। বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনও তিন বছর বাকি। তবে আরও অনেক আগে থেকেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে কাতার। ফুটবলের সবচেয়ে বড় এই আসর আয়োজন নিয়ে সজাগ তারা। ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজিত হতে যাচ্ছে আসন্ন এই আসরটি। এমনটাই জানিয়েছেন কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসির আল খাতের। সংবাদমাধমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমরা অনন্য এক বিশ্বকাপের আয়োজন করতে যাচ্ছি, যেটি ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।’

এই প্রথমবারের মত মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হতে হচ্ছে। সেই সুবাদে স্টেডিয়ামের টিকিট সুলভ মূল্যে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটি। ৮টি ভেন্যুতে ৬৪টি ম্যাচ হবে এই বিশ্বকাপে। রাশিয়া, ব্রাজিল বিশ্বকাপের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি খরচ করছে কাতার। সমুদ্র উপকূলে পড়ে থাকা শামুকের আদলের আল খোর স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে তারা। যার অবস্থান কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে। যেখানে ৪৩ হাজারের বেশি দর্শক একসাথে বসে ২০২২ সালে ফুটবল খেলা দেখতে পারবে।

বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কাতার যেসব স্টেডিয়াম তৈরি করছে তারই মধ্যে আল খোর স্টেডিয়াম একটি। বারোটি স্টেডিয়াম তৈরি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে। কোনোটি সামুদ্রিক নৌকার, কোনোটি ঝিনুক, কোনটি মরুদ্যানের নকশার আদলে। শুধু বাইরের চাকচিক্যই নয়। এসব স্টেডিয়ামের ভিতরেও থাকছে অভিনবত্ব। 
খেলোয়াড় আর দর্শকদের জন্য আরামদায়ক আবহাওয়া নিশ্চিত করবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি। এজন্য ব্যবহার করা হবে সৌরশক্তি। বিশ্বকাপ আয়োজনে সবচেয়ে বড় কর্মযজ্ঞটি চলে যেখানে খেলা হবে সেই ময়দানের প্রস্তুতি নিয়ে। শুধু স্টেডিয়াম নির্মাণ বাবদই কাতার ১ হাজার কোটি ডলার বা ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে। স্টেডিয়ামকে ঘিরে গড়ে উঠছে নতুন শহরও।

নির্মাণ করা হচ্ছে শপিংমল, বিনোদন কেন্দ্র, পার্কিং আর সড়ক ও আকাশ পথে যাতায়াত ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে খরচের অংকটা কপালে চোখ তোলার মতো। ২০ হাজার কোটি ডলার বা ১৬ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে তেলসমৃদ্ধ দেশ কাতার। যেখানে ১৪০০ কোটি ডলার খরচ করেই সফল হয়েছিল রাশিয়া আর ব্রাজিল। নিঃসন্দেহে বলা যায় এমন আয়োজনে ফুটবল পিপাসুরা হুমড়ি খেয়ে পড়বে।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!