• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
খালেকের দাবি ইস্যু সৃষ্টি করছেন মঞ্জু

২০০ নেতাকর্মীর বাড়িতে অভিযানের অভিযোগ মঞ্জুর


খুলনা প্রতিনিধি মে ১০, ২০১৮, ১২:৪১ পিএম
২০০ নেতাকর্মীর বাড়িতে অভিযানের অভিযোগ মঞ্জুর

খুলনা : খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার (৮ মে) রাতে পুলিশ বিএনপির ২০০ নেতাকর্মীর বাড়িতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে। সাতজনকে গ্রেফতারসহ নির্বাচনী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়েছে।

বুধবার (৯ মে) সকাল ৮টায় তিনি নগরীর মিয়াপাড়াস্থ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

মঞ্জুর এ অভিযোগ অস্বীকার করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির পিপিএম দাবি করেছেন, নাশকতাকারী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ।

কেএমপি সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি গ্রেফতারকৃতদেরকে তাদের নেতা বলে দাবি করে, পুলিশের কিছুই করার নেই।

এদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, সিটি নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু উদ্দেশ্যমূলকভাবেই মিথ্যা ইস্যু সৃষ্টি করে চলেছেন।

মঞ্জুর সংবাদ সম্মেলন : মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বিএনপির দুইশ নেতাকর্মীর বাড়িতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে। মহানগর বিএনপির সহ-সম্পাদক একরামুল কবীর মিল্টনসহ গত দু’দিনে প্রায় একশ’ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং সহস্রাধিক নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ গিয়ে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হুমকি দিয়েছে। এ পর্যন্ত মহানগরীতে প্রথমে ২১ জন ও জেলায় ৫৫ জন এবং মঙ্গলবার রাতে ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঞ্জু বলেন, পাঁচটি থানায় সাঁড়াশি অভিযানে শত শত পুলিশ অংশ নিয়েছে। অভিযান চালানো হবে এমন খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরেই আমি পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেছিলাম; তিনি বলেছিলেন, গ্রেফতার অভিযান করার মতো নির্দেশনা আমাদের নেই। কিন্তু রাতে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে।

সরকারের পরাজয় ঠেকাতে পুলিশকে অসৎভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে অভিযোগ করে মঞ্জু বলেন, যতই ঝড় আসুক বিএনপি তথা ২০ দল এ নির্বাচন থেকে সরে যাবে না। নেতাকর্মীরা জান দেবে তো ব্যালট দেবে না। তিনি বলেন, আমার পাশে ভোটাররা আছে, খুলনাবাসী আছে। এই বার্তা পেয়েই সরকার আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।  

সংবাদ সম্মেলনে ২০ দলীয় জোট নেতা খুলনা মহানগর বিজেপির সভাপতি অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ আবদুর রশিদ ও মহানগর বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চলসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

খালেকের সংবাদ সম্মেলন : কেসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, সিটি নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপির মেয়র প্রার্থী মঞ্জু উদ্দেশ্যমূলকভাবেই মিথ্যা ইস্যু সৃষ্টি করে চলেছেন। অসত্য তথ্য পরিবেশন করে নগরবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।  

খালেক বলেন, আমাদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য থাকলে সকাল ৭টা থেকে রাত পর্যন্ত গণসংযোগ করতাম না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সুজিত রায় নন্দী, এসএম কামাল হোসেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ প্রমুখ। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি করে খালেক বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী পোষে না। বিএনপি আমলে খুলনায় রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকসহ প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।  

পুলিশ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করছে দাবি করে খালেক বলেন, আমাদের দলেও যদি কোনো সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী থাকে তাহলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবে।  খুলনা রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বিএনপি ও জামায়াতের লোক দাবি করে খালেক বলেন, তাদের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে।

কেএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন : খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির পিপিএম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিএনপির মেয়র প্রার্থী ঢালাওভাবে তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের যে অভিযোগ করে চলেছেন, তা সত্য নয়। এটা তাদের একটি নির্বাচনী কৌশল হতে পারে। যারা নাশকতা এবং মাদকের ব্যবস্যা করে তাদের গ্রেফতার করছে পুলিশ।

‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি গ্রেফতারকৃতদেরকে তাদের নেতা বলে দাবি করে, তাহলে পুলিশের কিছুই করার নেই।’ যোগ করেন কেএমপি কমিশনার।  

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!