• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

২৫ বছর ধরে হাতের নখ কাটেননি যে যুবক!


মেহেদী হাসান উজ্জল, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি নভেম্বর ১১, ২০১৮, ০৩:০৬ পিএম
২৫ বছর ধরে হাতের নখ কাটেননি যে যুবক!

ছবি: সোনালীনিউজ

দিনাজপুর : নখের প্রতি যার অনন্য ভালোবাসা ফুলবাড়ীর সেই অরুন কুমার সরকার (৩৪)। তিনি পঁচিশ বছর ধরে নিজের হাতের নখ না কেটে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার লক্ষিপুর নামক স্থানে।

ফুলবাড়ী পৌর শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর উচ্চ-বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সরকার এর এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে অরুন কুমার সরকার।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২৫ বছর পূর্বে ১৯৯৩ সালে অরুণ কুমার সরকার যখন সবেমাত্র প্রাইমারীতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তার বয়স তখন ৮ বছর, ঠিক তখন সে কয়েক সপ্তাহ নখ না কাটায় তার নখ দেখে শিক্ষক তাকে নখ কাটার কথা বলেন। কিন্তু অরুণ তখন ভাবে যে এই নখ আরো একটু বড় হলে কেমন লাগে দেখি। আর এভাবেই তার নখ বড় হতে থাকে। এদিকে নখ বড় হবার সঙ্গে সঙ্গে নখের প্রতি অরুনের এক অনন্য ভালোবাসা জন্মায়, এর পর থেকে সেই নখের প্রতি ভালোবাসার কারণে সে আর তার নখ কাটতে চায়নি। লোকমুখে শুনে অরুনের এই নখ একনজর দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই তার দোকানে আসেন।

অরুনের বাবা মা ও আত্মীয় স্বজন তার নখ রাখার ব্যাপারে প্রথম প্রথম বাধা দিলেও পরে তারাও তা মেনে নেন। এ অবস্থায় অনেক বছর অতিবাহিত হয়, অরুনের বড় হবার সঙ্গে সঙ্গে তার বামহাতে রাখা নখ গুলো বছরের পর বছর পর্যায়ক্রমে বড় হতে থাকে।

একপর্যায়ে অরুন বড়ো হবার সঙ্গে সঙ্গে তার নখগুলোও বড় হতে থাকে। এ অবস্থায় বিয়ে সাদী করে তার একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বর্তমানে লক্ষিপুর বাজারে তার কন্যা সন্তানের নামে কান্না ডিজিট্যাল ফটো স্টুডিও নামে একটি ফ্লোক্সিলোডের দোকান রয়েছে। সেখানে ছবি তোলা ও ডিস সাপ্লাই এর ব্যবসা করেই সে তার  জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে।

অরুন কুমার সরকার বলেন, হাতে নখ রাখার ব্যাপারটা হঠাৎ করেই শখের বসে। তবে এতে তার তেমন কোনো সমস্যা হয় না। নখগুলোর প্রতি তার অনেক ভালোবাসা জন্মেছে সে কারণে অরুন তার নখ গুলো আর কখনো কাটবেন না বলে জানান। এমনিতেই যদি কোনো কারণে এই নখের কোনো অংশ একটু ভেঙ্গে যায়, তাতেই তিনি খুব কষ্ট পান বলেও জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!