• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৩ ঘণ্টায় করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার, মৃতের সংখ্যা ২১২০


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০, ০৯:৫২ এএম
৩ ঘণ্টায় করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার, মৃতের সংখ্যা ২১২০

ঢাকা: বর্তমানে চীনে এখন ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন। দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মানুষের মাধ্যমে ছড়ানো এই মহামারিতে প্রতিদিন শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটছে। 

কেবল তাই নয়, ভাইরাসটির শনাক্তস্থল চীনের সীমানা পেরিয়ে এর প্রাদুর্ভাব আরও অন্তত ২৪টি রাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে। 

খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত গত একদিনে করোনা ভাইরাসে আরও ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ১২০ জনে পৌঁছেছে। তাছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬ হাজারের অধিক। এর মধ্যে নতুন করে ১ হাজার ৭৪৯ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিলে যোগ দেওয়া নতুনদের মধ্যে অধিকাংশই হুবেই প্রদেশের। তাছাড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন আরও তিন লক্ষাধিক মানুষ।

এর প্রভাব বর্তমানে থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতসহ বেশকিছু দেশে অজ্ঞাত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তাছাড়া আতঙ্কে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ভাইরাসের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই সম্প্রতি চীনে ভ্রমণ করেছেন কিংবা সেখানে বসবাস করেন। এমনকি সিঙ্গাপুরেও কয়েকজন বাংলাদেশির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা সকলেই বর্তমানে দেশটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

এদিকে, গোটা বিশ্ব যখন মহামারি এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত, ঠিক তখনই যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি করছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগো ল্যাবের গবেষকরা জানিয়েছেন, মাত্র তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় তারা ভাইরাসটির পরীক্ষামূলক একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন। যা করোনার বিরুদ্ধে খুব ভালো কাজ করবে। ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালস এখন বিষয়টি নিয়ে বিস্তর পরীক্ষা চালাবে। 

বিষয়টি নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে কিছুদিন আগেই ইলেকট্রনিক মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে মরণঘাতী ভাইরাসটির আকৃতি শনাক্ত করা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় এবার করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করা হয়। এতেই উচ্ছ্বাসিত হয়ে উঠেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। পরীক্ষামূলকভাবে এটি প্রথমে কোনা প্রাণীর ওপর, এরপরে মানবদেহে প্রয়োগ করা হবে। প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি সম্পন্ন করতে আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।

এছাড়া চিকিৎসকরা জানান, এ ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। 

এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!