• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

৩০ বছর পর ‘রহস্য উদ্ঘাটন’


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৪, ২০১৯, ১০:০৮ পিএম
৩০ বছর পর ‘রহস্য উদ্ঘাটন’

ঢাকা: পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেছেন, ‘পারিবারিক বিরোধের জেরে সগিরা মোর্শেদকে হত্যা করা হয়। সগিরা মোর্শেদকে হত্যা করার জন্য তার ভাসুর হাসান আলী চৌধুরী ও জা সায়েদাতুল মাহমুদা শাহীন ২৫ হাজার টাকায় মারুফ রেজা নামের এক খুনির সঙ্গে চুক্তি করেন।’

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ধানমন্ডিতে পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

৩০ বছর পর সগিরা মোর্শেদ নামের এক নারীকে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেছেন।

এ বিষয়ে পিবিআই-এর প্রধান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের দিন সগিরা মোর্শেদ তার মেয়েকে ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে নিয়ে ফিরছিলেন। পথে মারুফ রেজা তার এক সহযোগীসহ মোটরসাইকেলে করে এসে সগিরা মোর্শেদের রিকশার গতিরোধ করে। মারুফ রেজা প্রথমে সগিরা মোর্শেদের হাতের সোনার চুড়িসহ অন্য গয়না ছিনতাই করার চেষ্টা করেন। এ সময় সগিরা মোর্শেদ বাধা দিলে মারুফ রেজা গুলি করেন, যার একটি সগিরা মোর্শদের হাতে ও একটি বুকে লাগে। এরপর তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।’

তিনি জানান, ওই ঘটনার পর সগিরা মোর্শেদকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই সময় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল।  সে মামলায় পুলিশ ও ডিবি তদন্ত করে মন্টু মিয়া নামের একজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়। কিন্তু সগিরা মোর্শেদকে গুলি করার সময় মোটরসাইকেলে দুজন ছিলেন, তাই একজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ায় আদালতে নারাজি আবেদন করা হয়। এক আইনজীবী রিট করার ফলে মামলাটি দীর্ঘদিন আদালতে ঝুঁলে ছিল। এরপর চলতি বছরের ১১ জুলাই উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্ত শুরু করে পিবিআই।

এর আগে পিবিআই তদন্তে নেমে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন হাসান আলী চৌধুরী (৭০), সায়েদাতুল মাহমুদা শাহীন (৬৪), মো. মারুফ রেজা (৪৯), আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান (৪৯)।  চারজনই আজ আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানান বনজ কুমার মজুমদার।  

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!