• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

৫ বছর বয়সী শিশুর যৌন উত্তেজনা দেখে চিৎকার শুরু করেন এই নারী


নিউজ ডেস্ক মার্চ ২০, ২০১৯, ০৯:৫৯ পিএম
৫ বছর বয়সী শিশুর যৌন উত্তেজনা দেখে চিৎকার শুরু করেন এই নারী

ফাইল ছবি

ঢাকা: প্যাট্টিক বুরলেই এর বয়স যখন মাত্র দু'বছর, তখনই তিনি তার যৌনকেশ উঠেছিলো যা মানুষের জন্য অত্যন্ত অস্বাভাবিক। যদিও এটি সাধারণত দশ বছর বয়সের পর হয়ে থাকে।

তবে প্যাট্টিকের এই অস্বাভাবিকতায় মোটেও অবাক হয়নি তার পরিবার। কারণ প্যাট্টিক ও তার কয়েকজন পুরুষ আত্মীয়ের এমন একটি বিরল রোগ আছে যার নাম 'প্রিকশাস পিউবার্টি'।

প্যাট্টিকের বিষয়টিকে বলা হচ্ছে 'টেস্টোটক্সিকসিস'- এটি পুরুষদের প্রাথমিক যৌন হরমোন টেস্টস্টেরন তৈরিতে ভূমিকা রাখে। মূলত টেস্টস্টেরনই পুরুষ শরীরকে তরুণে পরিণত করে।

তবে প্যাট্রিকের মতো এমন বিরল ঘটনা কতজন আছে তার কোনো হিসেব নেই। এক হিসেবে দেখা যায় বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যা এক হাজারের বেশি নয়। 'দ্রুত তারুণ্য' বলতে বোঝানো হচ্ছে তিন বছর বয়সে প্যাট্রিকের ওজন ও উচ্চতা ছিলো সাত বছর বয়সী ছেলের মতো।

"যতটুকু মনে পড়ে সামাজিকভাবে আমি ছিলাম বহিরাগত কারও মতো। নিজেকে অনেক বড়ো মনে হতো," বলছিলেন ৩৪ বছর বয়স্ক লস এঞ্জেলস ভিত্তিক এই অভিনেতা ও লেখক।

তিনি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের রেডিও প্রোগ্রাম আউটলুকের সাথে কথা বলেছেন।

"এটা শুধু যৌন কেশের বিষয় নয়, এটা ছিলো শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়।" "নিজেকে ফিট মনে হচ্ছিলো এবং সেটাই আমাকে চিন্তিত করেছিলো।"

'মনে হতো যেনো বিরল প্রাণী আমি'

প্যাট্রিক বাস করতেন নিউইয়র্কে এবং খেলার মাঠে, সুইমিং পুলসহ শিশুদের অন্য জায়গাগুলোতে তার উপস্থিতি অনেকের জন্যই ছিলো বিরক্তিকর।

"আমার বয়স যখন চার বছর। তখন সাঁতার শেখার সময় মা আমাকে নিয়ে গেলো মেয়েদের পোশাক পরিবর্তন কক্ষে।" "আমাকে দেখেই একজন নারী চিৎকার শুরু করলেন। কারণ আমাকে আসলে অনেক বড় দেখাচ্ছিলো।"

পরে মা যখন আমার অবস্থার বিবরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন তখনও তারা সন্দেহজনকভাবে দেখছিলো। "এটা ছিলো কঠিন সময় আমার ও মায়ের জন্য। মানসিকভাবে খুবই কষ্টের।"

প্যাট্রিকের বয়স যখন তিন বছর তখন তার টেস্টোস্টেরন ছিলেন ১৪ বছর বয়সী ছেলের সমান।

ফলে তাকে কিশোর দেখালেও তার আচরণ ছিলো শিশুর মতো। "মানুষ এমন ভাবে দেখতো যেনো আমি বিরল কোনো প্রাণী।"

'গিনিপিগ'

প্যাটিকের মা নিজে থেকেই তাকে জেনেটিক মিউটেশন সম্পর্কে পড়তে দিতেন। চিকিৎসার জন্য তাকে প্রতি ছয় মাসে একবার হাসপাতালেও যেতো হতো।

"আমাকে ঘিরে রাখতো ডাক্তাররা। সব ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতো তারা। এমনকি অণ্ডকোষ নিয়েও।" তাকে অনেকগুলো চিকিৎসা কোর্সের মধ্য দিয়েও যেতে হয়েছে।

'খারাপ ছেলে'

দীর্ঘ সময় ধরে তার পায়ে ইনজেকশন দিতে হবে। বন্ধুদের বাসায় ঘুমালে তার মা এসে সেটি দিয়ে যেতো। কিন্তু সমস্যা হলো স্কুলে। নানা ধরণের গালি-গালাজের শিকার হতো সে।

"স্কুলে আমার পরিচিত হয়ে উঠলো ব্যাড বয় হিসেবে। এটা খুব হতাশার ছিলো কারণ ওমন শিশু তো আমি হতে চাইনি।" প্যাট্রিক ধূমপান করতে শুরু করলো নয় বছর বয়সে এবং এরপর মারিজুয়ানা।

পরিস্থিতি আরও খারাপ হলো যখন চিকিৎসকরা চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

বাবার সমস্যা

একই ধরণের সমস্যায় ভোগা সত্ত্বেও প্যাট্রিকের বাবা এসব বিষয়ে খুব একটা কথা বলতেননা। "তার শৈশব ছিলো খুবই কষ্টের।"

"যখন আমার বয়স মাত্র ৫ তখন আমার যৌন উত্তেজনা ছিলো পনের বছর বয়সী ছেলের মতো। তিনি (বাবা) আমাকে বলতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা পারেননি।"

পরে পরিণত বয়সে বিষয়টি নিয়ে প্যাট্রিক তার অবস্থা নিয়ে স্ত্রী ও বন্ধুদের সাথে আলোচনা করেছি। অবাক করার বিষয় হলো যে তিনি সবার সহমর্মিতা পেয়েছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!