• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বাজেটের খসড়া তৈরি


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৪, ২০২০, ০৯:৪১ এএম
৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বাজেটের খসড়া তৈরি

ঢাকা: করোনাভাইরাসের সুদূরপ্রসারী ধ্বংসাত্মক প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে উদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বাজেটের খসড়া তৈরি করেছে। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।           

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি বাজেটের চূড়ান্ত আকার নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠক করে তা চূড়ান্ত করবেন।     

প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর বৈঠকে বাজেটের আকার চূড়ান্ত করা ছাড়াও নতুন অর্থবছরে রাজস্ব আদায়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এছাড়াও বৈঠকে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংকট পরবর্তীতে অর্থনীতিকে কিভাবে পুনরুজ্জীবিত করা যায়, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।     

আগামী অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিও সামনে রাখা হবে। করোনাভাইরাসের কারণে হঠাৎ  চাকরি হারানো লাখ লাখ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা কিভাবে কম খরচে নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়টিও ভাবছে সরকার। এজন্য ইতোমধ্যেই কৃষিখাতে প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে।

অর্থ বিভাগ ২০২০-২১ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি।  এই উন্নয়ন বরাদ্দের মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা ও বিদেশি সাহায্যের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা।          

আগামী ১৫ মের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) তৈরি করতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।          

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জনগণের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকাও বাজেট থেকে ব্যয় করা হবে। যা অভ্যন্তরীণ বা সামষ্টিক মোট উৎপাদনের ৩ দশমিক ৫ শতাংশের সমান।    

করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের লক্ষ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারণী কমিটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই বরাদ্দের অনুমোদন এবার নাও হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে পাস হতে পারে।         

আগামী ১১ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট পেশের আশা করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। যদিও সবকিছু নির্ভর করছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ওপরে। মহামারি অবস্থা কেটে গেলে সংবিধানের বিশেষ বিধানের অধীনে স্বল্প মেয়াদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট ঘোষণাও করা হতে পারে।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!