• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৫৩টি রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ করবে সরকার


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৩:০৭ পিএম
৫৩টি রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ করবে সরকার

ঢাকা : অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে অবশেষে নির্মাণ হচ্ছে ৫৩টি রাসায়নিক গুদাম। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে শিল্প মন্ত্রণালয় ‘রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এ জন্য ব্যয় হবে ৯১ কোটি ৭৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রকল্পটি কোনো দরপত্র ছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন কারখানার বিশেষ করে টেক্সটাইল, ডাইং, লেদার, ফার্মাসিউটিক্যালস, ল্যাবরেটরির জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য বিদেশ থেকে আমদানি করে মজুত রাখার প্রয়োজন হয়।

অনেক দিন আগে থেকেই পুরনো ঢাকায় রাসায়নিক পদার্থের কারখানা এবং রাসায়নিক পদার্থ মজুত রাখা ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় রাসায়নিক পদার্থ মজুতের জন্য গুদাম থাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক। যার জন্য পুরান ঢাকায় ২০১০ ও ২০১৯ সালে দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে, যেখানে অনেক প্রাণহানি ও বিপুল পরিমাণ সম্পদ বিনষ্ট হয়।

এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে পুরান ঢাকার সব রাসায়নিক পদার্থ মজুতের গুদাম ও কারখানা নিরাপদ স্থানে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে।

এর অধীন বিসিক কর্তৃক মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বৈধ কেমিক্যাল কারখানা ও কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের জন্য কারখানা নির্মাণ, রাসায়নিক দ্রব্যাদি মজুত ও সংরক্ষণের জন্য পৃথক একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২২ মেয়াদে এক হাজার ৬১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাস্তবায়িত হবে।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শ্রেণিভিত্তিক (তরল, সলিড, দাহ্য, অদাহ্য, বিস্ফোরক, ক্ষয়কারক, লিক্যুইফাইড গ্যাস) রাসায়নিক দ্রব্যগুলো সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।

পুরান ঢাকায় মজুতকৃত রাসায়নিক দ্রব্যাদি দ্রুত অন্য জায়গায় স্থানান্তরের মাধ্যমে ওই এলাকার জনগণের মাঝে আতঙ্ক নিরসনে এবং ওই এলাকায় জীবনযাপন ও ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ রক্ষার্থে প্রস্তাবিত রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটি জাতীয় অতি জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বিধায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৫৩টি কেমিক্যাল গুদাম, ৩টি ভবনসহ আনুষঙ্গিক কাজ ডিপিএম এ বাস্তবায়নের অনুমোদন আছে।

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন (পিপিএ)-২০০৬-এর ধারা ৬৮(১) এ রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ডিপিএম এ বাস্তবায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা থাকায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হবে। কমিটির অনুমোদন পেলে প্রকল্প বাস্তবায়নে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!