বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের কুরুপেরধাইড়-ডেউয়াতলা পদ্মপুকুর পাড় সংযোগ খালের কাঠের সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সাত গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা এ ভাঙা সেতুটি। এখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুরুপের ধাইড়, পদ্মপুকুর পাড়, ডেউয়াতলা, সংযোগ খালের ১ ও ৩ নং দুটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বসবাস। জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৫ হাজার। এছাড়াও চারাখালি, ডেউয়াতলা, হাওলাডাঙ্গা, গাজি বাড়ি, সরর্দার পাড়া, সনিরজোড়, ফুলহাতা ও ঘষিয়াখালী এলাকার মানুষের চলাচলের মাধ্যম এ জরাজীর্ণ পুলটি।
এ সেতুটি পার হয়ে প্রতিদিন শিক্ষাগ্রহণের জন্য যাতায়াত করতে হচ্ছে সোমাদ্দারখালী দক্ষিণ বাংলা কলেজ, টেকনিক্যাল কলেজ, হাজী রাজাউল্লাহ্ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সোমাদ্দারখালী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, সোমাদ্দারখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব কুরুপেরধাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডেউয়াতলা কে সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডেউয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খনির খন্ড দাখিল মাদ্রাসসহ অন্তত ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী। এছাড়াও রয়েছে ৩টি মসজিদ ও শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কিন্ডার গার্টেন।
সেতুটি পারাপারের সময় কথা হয় পথচারি আ. সত্তার হাওলাদার (৭৫), জাহাঙ্গীর শেখ (৫৫), মো. রুস্তুম আলী হাওলাদার (৭০), বিপ্লব মোল্লা (৩২), শিক্ষক শাহাজাহান শেখ(৪৫), শিক্ষার্থী মো.রুবেল মুন্সি, রুপম, তামান্না ইয়াসীনসহ অনেকের সঙ্গে।
তারা বলেন, ১০/১২ বছর পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এ কাঠের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে আর কোন সংস্কার হয়নি। দুবছর আগে কয়েকটি কাঠ দিয়ে নামেমাত্র সংস্কার করা হয়েছিলো সেতুটি।
এলাকাবাসী কাঠের সেতুটি পুনঃসংস্কারের পরিবর্তে একটি কালভাট নির্মাণের দাবি জানান।
এবিষয়ে জিউধরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদশা জানান, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে একবার সেতুটি সংস্কার করেছিলেন। পুনঃরায় সংস্কারের জন্য পরিষদের সভা করে রেজুলেশন আকারে এলজিএসপিতে বরাদ্ধের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমআরআইএম/এএস
আপনার মতামত লিখুন :