• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
অর্ধযুগে বাজেট দ্বিগুণ হয়েছে

৯ হাজার কোটিতে থমকে আছে কৃষি ভর্তুকি


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৫, ২০১৮, ০১:৩৩ পিএম
৯ হাজার কোটিতে থমকে আছে কৃষি ভর্তুকি

ঢাকা : গত ছয় বছরে দেশের মূল বাজেটের আকার বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। আগামী ৭ জুন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হবে। যা ২০১২-১৩ অর্থবছরের চেয়ে দ্বিগুণের অনেক বেশি। কিন্তু নতুন বাজেটেও কৃষিতে ভর্তুকি থাকছে ৯ হাজার কোটি টাকার ঘরেই। ছয় বছর আগেও একই ভর্তুকি ছিল। অর্থাৎ দেশের সার্বিক বাজেট বাড়লেও কৃষিতে ভর্তুকি একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এককভাবে মোট ভর্তুকির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেয়ে থাকে কৃষি খাত। সার, বিদ্যুৎ, কৃষি উপকরণ, উন্নতমানের বীজ কেনা বাবদ এ টাকা দেওয়া হয়। তবে বর্তমানে দেশে সার্বিক কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির হার নিম্নমুখী। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে খাদ্যশস্যের আমদানি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বর্তমান খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধির তুলনায় বেশি। ফলে কৃষিকে এগিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই।  

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকি ছিল ৯ হাজার কোটি টাকা। তার পর থেকে বাজেটের আকার প্রতি বছর বড় হলেও কৃষিতে ভর্তুকি ৯ হাজার কোটিতেই আটকে আছে। আসন্ন বাজেটে এ খাতে ভর্তুকি ৫০০ কোটি বাড়িয়ে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা করা হতে পারে।  

সূত্র জানায়, নতুন বাজেটে অগ্রাধিকারের তৃতীয় অবস্থানে আছে কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন। এ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১৬ হাজার ১২৭ কোটি টাকা। এটি বাজেটের প্রায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ১৫ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। কৃষির আরেকটি দিক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে নতুন বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশে মোট গ্রামীণ শ্রমশক্তির ৬০ ভাগের বেশি এখনো কৃষিতে নিয়োজিত।
আগের তুলনায় কমলেও এখনো জিডিপির প্রায় ১৬% আসে কৃষি থেকে। অথচ ২০১২-১৩ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৮.৪ শতাংশ। যা চলতি বাজেটে কমে হয় ৩.২ শতাংশ। একই বছরে কৃষি ভর্তুকি ৯ হাজার কোটি থাকলেও সংশোধিত বাজেটে তা কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার কোটি টাকায়। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সোমবার জাতীয় বাজেটের উন্নয়ন বরাদ্দের ৪০% কৃষি খাতে বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট (বাসদ)।

সংগঠনটি গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছে।  এদিকে বাজেটে ভর্তুকি বাড়ানো নয়, হ্রাসের পক্ষে দাতা সংস্থাগুলো।

কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো উন্নত বিশ্বেও কৃষিতে বিপুল পরিমাণে ভর্তুকি দেওয়া হয়। সে হিসেবে বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশে ভর্তুকি আরো বেশি হওয়া দরকার বলে মনে করেন অনেকে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!