নিত্যপণ্যের বাজারে স্থবিরতা, পুরনো পেঁয়াজের দাম এখনো বেশি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫, ১২:১৭ পিএম
নিত্যপণ্যের বাজারে স্থবিরতা, পুরনো পেঁয়াজের দাম এখনো বেশি

ফাইল ছবি

ঢাকা: রাজধানীর বাজারে নিত্যপণ্যের দামে বড় কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। তবে নতুন পেঁয়াজ ও আলুর দামে সামান্য কমতি আসলেও-পুরোনো পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা এখনো কাটেনি। এছাড়াও আগের মতোই নিম্নমুখী রয়েছে মুরগি ও ডিমের বাজার। যদিও 

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা যায়, নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ এখনো প্রত্যাশিত মাত্রায় না বাড়ায় পুরোনো পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। ফলে পুরোনো পেঁয়াজ কিনতে এখনো কেজিপ্রতি গুনতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পর্যন্ত। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ খুব একটা বাড়েনি। অধিকাংশ দোকানেই এখনো পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। যেখানে নতুন পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে মানভেদে দামের পার্থক্য রয়েছে।

এখন বাজারে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০ টাকায়। তবে রামপুরার কয়েকটি মুদি দোকানে একই পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। ‘এগুলো মূলত মুড়িকাটা পেঁয়াজ। সরবরাহের ওপর দাম কমবেশি হয়। সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে।’

অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত নতুন আলুর দামও কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে যেখানে নতুন আলু কেজিপ্রতি ৩৫–৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, এখন তা নেমে এসেছে ৩০–৩৫ টাকায়। পুরোনো আলু আগের মতোই ২০–২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শীতের সবজির বাজারেও দাম কমার প্রবণতা দেখা গেছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩০–৩৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা বা তার বেশি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০–৮০ টাকা কেজি দরে। এর মধ্যে লম্বা জাতের বেগুন তুলনামূলক সস্তা। শিমের ক্ষেত্রেও জাতভেদে দামের পার্থক্য রয়েছে। সাধারণ সবুজ শিম ৪০–৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে, আর রঙিন শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০–৮০ টাকায়।

এদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরে ডিম ও মুরগির বাজার নিম্নমুখী রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১১০–১২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহের সমান। ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৫০–১৬০ টাকায়।

ডিম ও মুরগির বিক্রেতারা জানান, বাজারে দাম কমে যাওয়ায় খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। উৎপাদন খরচের চেয়েও কম দামে ডিম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক খামারি, যা দীর্ঘমেয়াদে সরবরাহ ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

এএইচ/এসআই

Link copied!