ঢাকা: কম্পিউটার ভাইরাস! যারা সবে মাত্র কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে শুরু করেছে তাদের জন্যে রীতিমত একটি ভয়ানক ব্যাপার। কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে জাতে গেলে আপনি রীতিমত তাজ্জব বনে জাবেন! মানুষের ভাইরাস হয় বলে শুনেছি কিন্তু কম্পিউটারের ভাইরাস হয় কিভাবে? এতো যন্ত্র! যন্ত্রেরও ভাইরাস!
কম্পিউটার ভাইরাসের আবির্ভাব হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ভাইরাস তৈরি করে যাচ্ছে প্রোগ্রামাররা। এসব ভাইরাসের অনেক গুলোই এতটাই ক্ষতিকর যে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃস্টি করেছে।
কম্পিউটার ভাইরাস হল এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীর অনুমতি বা ধারণা ছাড়াই নিজে নিজেই কপি হতে পারে। মেটামর্ফিক ভাইরাসের মত তারা প্রকৃত ভাইরাসটি কপিগুলোকে পরিবর্তিত করতে পারে অথবা কপিগুলো নিজেরাই পরিবর্তিত হতে পারে। একটি ভাইরাস এক কম্পিউটার থেকে অপর কম্পিউটারে যেতে পারে কেবলমাত্র যখন আক্রান্ত কম্পিউটারকে স্বাভাবিক কম্পিউটারটির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
অনেক ভাইরাস এতোই মারাত্মক যে, তার জন্য এন্টিভাইরাসই ইন্সটল করা যায় না, ফলে পিসির এসব ভাইরাস পিসিতেই থাকে। তাহলে কী পিসি ফরম্যাট করা (কম্পিউটারের সব ডাটা জলাঞ্জলি দেয়া) ছাড়া কোনো উপায় নেই? অবশ্যই আছে।
সাধারণত যে সব ভাইরাস আপনার পিসিতে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করতে দেয় না বা আপনার এন্টিভাইরাস দিয়েও যায় না তার কারণ তারা আপনার পিসিতে সক্রিয় আছে বলেই তারা আপনাকে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করা থেকে বিরত রাখতে পারে আর আপনার এন্টিভাইরাসের ক্ষমতাকেও হারাতে পারে।
সুতরাং, এমন কিছু করতে হবে যেন, ভাইরাসগুলো সক্রিয় না থাকে। পিসিতে ভাইরাস তখনই সক্রিয় হয়, যখন আপনি আপনার পিসির ড্রাইভগুলো ওপেন করেন।
ধরুন, আপনার পিসিতে সিস্টেম ড্রাইভ ছাড়া অন্য ড্রাইভে ভাইরাস আছে। এখন আপনি যদি উইন্ডোজ সেটআপ দিয়ে আবার আপনার ড্রাইভগুলো ওপেন করেন, তাহলে ভাইরাসগুলো আবার সক্রিয় হবে।
ভাইরাস দূর করার উপায়-
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :