পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে সুমি

  • জেলা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০১৯, ০৬:২৭ পিএম
পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে সুমি

মেহেরপুর: বিয়ের দাবিতে মেহেরপুরের গাংনীর পল্লীতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকা অবস্থান নেয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ক্লাবপাড়ার খেদু মালিথার ছেলে ২ কন্যা সন্তানের জনক মুদী ব্যবসায়ী কাওছার আলীর (৪৮) বাড়ীতে পার্শ্ববর্তী গ্রাম চরগোয়াল গ্রামের রকিবুলের স্ত্রী সুমী (৩৫) প্রেমজ সম্পর্কের কারণে বিয়ের দাবিতে ঘর ছেড়ে পালিয়ে এসেছে। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে হোগলবাড়ীয়া গ্রামে। 

এদিকে, কাওছার আলী তাদের প্রেমজ সম্পর্ক অস্বীকার করে  গ্রামের মেম্বর ও পরিবারের চক্রান্তে পলাতক রয়েছে। এমন চাঞ্চল্যকর ও রসাত্মক ঘটনাটি ঘটেছে আজ

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ক্লাবপাড়া গ্রামের খেদুর ছেলে লম্পট কাওছার আলী পরিবারের অগোচরে পাশের গ্রামের ইলফাজ আলীর মেয়ে ও গাছ ব্যবসায়ী রকিবুল ইসলামের বন্ধ্যা স্ত্রী সুমীর সাথে ৩ বছর যাবৎ অবৈধ সম্পর্ক গড়ে মেলামেশা করে আসছিল। কাওছারের কিনে দেয়া মোবাইল ফোন দিয়ে চুটিয়ে প্রেম করেছি। সুমীকে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দিলে গত রবিবার বিকেলে সুমী গোপনে স্বামীর ঘর ছেড়ে দুজন পালিয়ে যায়। 

সুমী জানায়, আমরা পার্শ্ববর্তী দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ গ্রামে এক গুরুবাবার আশ্রমে রাত্রি যাপন করি। পরদিন ভোরে আমরা সেখান থেকে আবার হোগলবাড়ীয়া গ্রামে চলে আসি। গত সোমবার এ ঘটনা সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে আমি কাওছারকে বিয়ের দাবি তুলি। এসময় কাওছার রাজি হলে আমি আমার স্বামীর বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে জমি বিক্রিত ৩ লাখ টাকা সবার অগোচরে দোকানের মধ্যে প্রদান করি। এক্ষণে কাওছার আমার সাথে প্রতারণা করে বিয়ে না করে আমাকে রেখে পালিয়ে গেছে। আমি আর বাড়ী ফিরে যাবো না।আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাওছার কে বাড়ী থেকে সরিয়ে রেখে গ্রামের মেম্বর জাহাঙ্গীর হোসেন সুমীকে বাড়ীতে রেখে নানাভাবে লাঞ্ছিত করে। 

এদিকে, খামার পাড়ার জাহাঙ্গীর হোসেন মেম্বর সুমীর সুষ্ঠু বিচার করে দেয়ার আশ্বাসে বাড়ীতে রাত্রি যাপন করতে দেয়। এসময় জাহাঙ্গীর তার সহযোগীদের নিয়ে সুমীর চরিত্রের দোষ ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা বাণিজ্য করার ষড়যন্ত্র করে। 

স্থানীয়রা জানায়, কাওছার আলী ৬/৭ মাস আগে সুমীর বাড়ীতে অবৈধ মেলা মেশা করার সময় চরগোয়ালগ্রামের লোকজন ধরে গণধোলাই দিয়েছিল।সে সময় পরিবারের লোকজন মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল। তারপর পুণরায় কাওছার ও সুমীর মধ্যে প্রেম দানা বেধে উঠে।  শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, ধর্ষণ মামলা সালিশ যোগ্য অপরাধ না হলেও গ্রামের প্রভাবশালী মেম্বর জাহাঙ্গীর হোসেন, সাজাহান মেম্বর আইজউদ্দীন ও কামরুল সহ গ্রামের এক শ্রেণির  স্বাথান্বেষীমহল ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে মিমাংসা করে সুমীকে তার স্বামী রকিবুলের হাতে তুলে দিয়েছে। 

এনিয়ে গ্রামে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।কাওছারের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, বিনা অপরাধে গ্রামের মাতব্বররা ৮০হাজার টাকা জরিমানা করেছে। মাতব্বররা বিভিন্ন অযুহাতে আরও ২০ হাজার টাকার দাবী করেছে। এব্যাপারে গাংনী থানার(ওসি)ওবাইদুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি অভিযোগ  করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Link copied!