কে এই রিশান ফরাজী

  • বরগুনা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০১৯, ১২:৫০ পিএম
কে এই রিশান ফরাজী

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামী ও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া রিশান ফরাজীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টায় বরগুনা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন। জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

মারুফ হোসেন বলেন, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামী রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী আপন এই দুই ভাই সরাসরি রিফাত শরীফ হত্যায় অংশ নিয়েছিল।

পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় প্রধান সাক্ষী মিন্নিসহ এখন পর্যন্ত ১৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিশান ফরাজীকে আজ আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। গ্রেপ্তারের মধ্যে ১০ জন রিফাত হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।  বাকী ৩ জন এখনো রিমান্ডে রয়েছে। যাদের মধ্যে আজ আরিয়ান শ্রাবনকে আজ বিকেলে আদালতে হাজির করা হবে। 

রিশান বরগুনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি রোডের দুলাল ফরাজীর ছেলে এবং এই মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীর ছোট ভাই। এর আগে ২ জুলাই  রিফাত ফরাজীকে (২৩) গ্রেপ্তার করে বরগুনা থানা পুলিশ। 

রিফাত ও রিশান বরগুনা শহরের ধানসিঁড়ি সড়কের দুলাল ফরাজীর ছেলে। রিফাত ফরাজী বরগুনা কলেজিয়েট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও ২০১৪ সালে বরগুনা জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করে। এরপরই সে বরিশালের ইনফ্রা পলিটেকনিকে ভর্তি হয়। ভর্তির পর সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।

পরপর সেমিস্টারে অকৃতকার্য হওয়ার পর সে বরগুনায় চলে আসে। গড়ে তোলে সন্ত্রাসী গ্রুপ। এই গ্রুপে আছে তার ভাই রিশান ফরাজীও। ইতিমধ্যে তাদের হাতে অসংখ্য মানুষ লাঞ্ছিত হয়েছেন। তুচ্ছ কারণে লোকজনকে মারধর করত তারা। এসব কারণে কয়েকবার তারা গ্রেফতার হলেও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ভায়রার ছেলে হওয়ায় খুব স্বল্প সময়েই মুক্তি পায় তারা।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাতকে। বেলা তিনটার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়।

সোনালীনিউজ/এএস
 

Link copied!