দিনে গ্রেফতার ভোররাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হানিফ

  • নাটোর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২০, ১১:২৮ এএম
দিনে গ্রেফতার ভোররাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হানিফ

নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুরে চাঞ্চল্যকর বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমের (৬২) হত্যাকারী ভাড়াটে খুনি হানিফ বেপারী পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের সহযোগিদের ধরতে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কালাকান্দ এলাকায় অভিযানকালে হানিফকে ছিনিয়ে নিতে তার সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে দুই পক্ষের গুলিবিনিময়ে নিহত হন হানিফ বেপারী।

এসময় পুলিশের দুই সদস্যও আহত হয়। এর আগে রাজধানী ঢাকার মেরুল বাড্ডা থেকে হানিফকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোররাতে গুরুদাসপুর উপজেলার কালাকান্দ পারগুরুদাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আকরামুল হোসেন জানান, হানিফ বেপারীর বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি ভোর রাতে গুরুদাসপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগমকে (৬২) ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হলে গুরুদাসপুর থানার পুলিশ তদন্তে নামে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের সনাক্ত করা হয়।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আকতারের নেতৃত্বে গুরুদাসপুর থানার পুলিশ রাজধানী ঢাকার মেরুল বাড্ডা এলাকা থেকে মনোয়ারা হত্যা মামলার ভাড়াটে খুনি হানিফ বেপারীকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বনশ্রী এবং সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার কল্যাণপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। বৃহস্পতিবার ভোররাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত হানিফেরে সহযোগিদের ধরার উদ্দেশ্যে তাকে সঙ্গে নিয়ে গুরুদাসপুর উপজেলার কালাকান্দ এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

অভিযানকালের সময় গুরুদাসপুর হতে কালাকান্দর সংযোগ সড়কের পার্শ্বে অবস্থিত কলাবাগানে অবস্থানরত মামলার পলাতক আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। এসময় হানিফ বেপারী পালানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল হতে একটি পিস্তল ও একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান এবং ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। এই সময় দুইজন পুলিশ আহত হয় এবং তাদের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ হত্যা মামলায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এফজেএস/এসআই/এএস

Link copied!