জমির বিরোধ 

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে মারধর, থানায় মামলা

  • লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২, ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে মারধর, থানায় মামলা

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মো. রবিউল ইসলাম ও তার মা মুরশিদা বেগমকে মারধরের ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আনিসুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

অভিযুক্তরা হলেন- আবদুল মান্নান, তার ছেলে জুয়েল হোসেন, ইকবাল হোসেন টিটু, মিঠু, মেয়ে সিমি, পুত্রবধূ মিতু বেগম, স্বজন নাছির, আমেনা আক্তার ও অজ্ঞাত ৫ জন। তারা সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাঙ্গাখাঁ গ্রামের বাসিন্দা। গত ১৭ এপ্রিল রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সদর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। পরে থানা থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য এএসআই আনিসুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

বাদী রবিউল সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ গ্রামের মৃত মো. হারুনুর রশিদের ছেলে। গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে তিনি সম্প্রতি স্নাতক (অনার্স) সম্পন্ন করেছেন। 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, মান্নানদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে রবিউলদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরমধ্যে ১৫ এপ্রিল বিকেলে অভিযুক্তরা তাদের জমিতে প্রবেস করে ১৫টি ফলজ গাছ কেটে ক্ষতিসাধন করে। এসময় জমিতে থাকা নিরাপত্তা দেওয়াল ভেঙে ফেলে। এতে রবিউলদের প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে রবিউল ও তার মা মুরশিদা অভিযুক্তদের বাধা দেয়। এতে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের দুইজনকে মারধর করে। একপর্যায়ে তাদেরকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

রবিউল ইসলাম বলেন, আমার বাবা সরকারি চাকরি করতেন। সে সূত্রে আমরা মানিকগঞ্জ থাকতাম। গ্রামের বাড়িতে এসে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। এরমধ্যে মান্নান ও তার ছেলেরা আমাদের জমি জোরপূর্বক দখল করার পাঁয়তারা করছে। বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদেরকে হত্যার চেষ্টা করে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। 

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে আবদুল মান্নানদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। 

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আনিসুজ্জামান বলেন, ২৩ এপ্রিল সরেজমিনে তদন্ত গিয়েছি। বাদীর মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) এখনো পাইনি। এমসি পেলেই তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে। 

এমএস

Link copied!