পদ্মাসেতুর ৩৩তম স্প্যান বসছে আজ

  • মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২০, ১১:০২ এএম
পদ্মাসেতুর ৩৩তম স্প্যান বসছে আজ

মুন্সিগঞ্জ: পদ্মাসেতুর ৩৩ তম স্প্যান বসছে কিছুক্ষণের মধ্যে। মাওয়া প্রান্তের সেতুর ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের উপর স্প্যানটি বসানো হবে। ৩২ তম স্প্যান বসানোর আট দিনের মাথায় বসতে যাচ্ছে এই স্প্যানটি।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৪ হাজার ৯৫০ মিটার। 

এর আগে রোববার (১৮ অক্টোবর) রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মূল সেতুর  নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের। 

পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্র জানিয়েছে, মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে ‘ওয়ান সি’ নামের ৩৩তম স্প্যানটি প্রস্তুত আছে। যা বসানো হবে মাওয়া প্রান্তে। আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে স্প্যানটি সফলভাবে বসানো সম্পন্ন হবে আজই। স্প্যান বসানোর জন্য সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মাওয়া প্রান্তে ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের উপর বসানো আছে তিনটি স্প্যান। এই স্প্যানের সাড়ির সাথেই বসানোর পরিকল্পনা প্রকৌশলীদের। এদিকে, সেতুর ৩ নম্বর ৭ নম্বর পিলার পর্যন্ত নৌযান চলাচলের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। স্প্যান বসানোর সময় নৌযান যাতে না চলাচল করে সেদিকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছে। 

পদ্মাসেতুর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনটি কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের কাছে অবস্থান করছে। সকাল সাড়ে ৮টায় ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে নিয়ে যাবে। কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে পিলারের দূরত্ব খুব বেশি না থাকায় একদিনের মধ্যেই স্প্যানটি বসানোর ব্যাপারে আশাবাদী প্রকৌশলীরা। তবে, যদি পদ্মানদীতে স্প্যান বসানোর কার্যক্রমে কোন প্রাকৃতিক কারন বাধা হয়ে দাঁড়ায় তবে আরোও একদিন সময় লাগতে পারে। 

অন্যদিকে, পদ্মাসেতুতে ৩৩ তম স্প্যান বসানো গেলে বাকি থাকবে ৮টি স্প্যান বসানো। স্প্যানগুলো মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে। এদিকে, ৪১টি স্প্যানের ওপর ২ হাজার ৯১৭টি রোড স্লাব বসানো হবে। এ পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার রোড স্ল্যাব। এছাড়া রেললাইনের জন্য লাগবে ২ হাজার ৯৫৯টি রেল স্ল্যাব। এ পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ৬০০ রেলওয়ে স্ল্যাব।  

জানা যায়, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

সোনালীনিউজ/এমএস/এসআই

Link copied!