বিআরডিবির ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

  • লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২২, ১১:০০ এএম
বিআরডিবির ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির (ইউসিসিএল) সভাপতি রফিক আহমেদ ও বিআরডিবির ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রায় ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) হিমাংশু বণিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন রায়পুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (বিআরডিবি) জামাল হোসেন পাটওয়ারী ও সদরের হিসাব রক্ষক (অতিরক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মনির হোসেন। জামাল সদরের অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। 

এরআগে দক্ষিণ-পূর্ব চররুহিতা গ্রামের সমবায় সদস্য কৃষক মো. আলী চৌধুরী তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি বিআরডিবির মহাপরিচালক, পরিচালক (সরেজমিন), পরিচালক (প্রশাসন), পরিচালক (অর্থ), যুগ্ম-পরিচালক (সিসিএম), উপ-পরিচালক (সমবায়), উপপরিচালক (বিআরডিবি), লক্ষ্মীপুর জেলা সমবায় কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের কাছে ডাক যোগে পাঠানো হয়। 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ৭টি দোকান নির্মাণের জন্য রফিকসহ অভিযুক্তরা অগ্রিম ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। কিন্তু তারা ইউসিসিএলের ব্যাংক হিসেবে টাকাগুলো জমা করেননি। জোড়া বাড়ি ও গাছের লভ্যাংশের প্রায় ১১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা উত্তোলন করেও তা ব্যাংক হিসেবে জমা দেওয়া হয়নি। বিসিক শিল্প নগরীর ভবন বাড়ার ২২ হাজার টাকা, প্রাক্তন পরিদর্শক শহিদের বকেয়া বেতনের ১ লাখ ১৭ হাজার, সাবেক পরিদর্শক মাধুরী রানী নাহার প্রায় ৫ লাখ টাকা, ইউসিসিএলের গুদামে থাকা ১২ মোটরসাইকেলসহ মালামাল বিক্রির প্রায় ৬ লাখ টাকা ও ভবানীগঞ্জে গুদাম ভাড়ার ৬৯ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন খাতের প্রায় ৩০ লাখ টাকা অভিযুক্তরা আত্মাসাত করেছেন। 

ভূক্তভোগী সদর উপজেলার বিআরডিবির সাবেক পরিদর্শক মাধুরী রানী নাহা বলেন, আমি বকেয়া বেতনের এক টাকাও পাইনি। কেউ আমাকে কোন টাকা দেয়নি। 

সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান রফিক আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা। আলি নিজেই আবার অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে। নির্বাচন কেন্দ্রীক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার ঋণ খেলাপিও নেই। সরকার মূল টাকা পরিশোধ করেছি। সুদের টাকা সরকার মওকুফ করে দিয়েছে। 

সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বিভাগের হিসাব রক্ষক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মনির হোসেন বলেন, দোকানঘর নির্মাণের জন্য আমি কোন টাকা নিইনি। অভিযোগের ঘটনাগুলোও আমার অজানা। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন। 

অভিযুক্ত রায়পুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা জামাল হোসেন পাটওয়ারী বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। ভাইস চেয়ারম্যান ও হিসাবরক্ষক রশিদ দিয়ে দোকানঘর নির্মাণের অগ্রিম টাকাগুলো নিয়েছেন। সেই টাকা ব্যাংক হিসেবে জমা দিয়েছেন কি না তা আমার জানা নেই।

সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) হিমাংশু বণিক বলেন, আমি অভিযোগের একটি অনুলিপি পেয়েছি। এতে আমার কোন কিছু করার এখতিয়ার নেই। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন। 

বক্তব্য জানতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

সোনালীনিউজ/জেইউবি/এসআই

Link copied!