লালমনিরহাটে গরু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর ট্যাবলেট

  • লালমনিরহাট প্রতিনিধি  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০১৬, ০৬:৪৭ পিএম
লালমনিরহাটে গরু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর ট্যাবলেট

ঈদকে সামনে রেখে লালমনিরহাটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবাধে আসছে পশু মোটাতাজাকরণ নিষিদ্ধ ক্ষতিকর নিমোসলিড, প্যারাকটিন, সেটম্যাক্স ট্যাবলেট।  কম খরচে অল্প সময়ে বেশি লাভ পাওয়ার আশায় পশুকে খাওয়ানো হচ্ছে এসব ক্ষতিকর ট্যাবলেট। ফলে পশুর গায়ে নামছে পানি দেখা যাচ্ছে মোটাতাজা। 

আগামী সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল আযহা। আরও ঈদকে পুঁজি করে কিছু সংখ্যক অসাধু খামার মালিকরা বেশি লাভের আশায় পশু বিক্রির দেড় থেকে ২মাস আগ থেকে ক্ষতিকর নিমোসলিড, প্যারাকটিন, সেটম্যাক্স ট্যাবলেট খাওয়ানো শুরু করে। আর পশু বিক্রির যখন  দুই থেকে তিন সপ্তাহ বাকী থাকে তখন এই ট্যাবলেট খাওয়ার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। এতে পশু হয়ে ওঠে মোটাতাজা দেখায় বেশ নাদুসনুদুস। 

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবুল হোসেন জানান, খামারিদেরকে  সচেতন করতে আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে উঠান বৈঠক করে এসব ক্ষতিকর উপাদানের নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। সেই সঙ্গে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। কীভাবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে দ্রুত পশুকে মোটাতাজা করা যায় সে বিষয়েও খামারিদেরকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। 

তবে জনসচেতনতার দিক থেকে আশাবাদী হওয়ার মত কিছু অর্জন করা যায়নি বলেও তিনি স্বীকার করেন। ক্রেতারা কীভাবে বুঝবে এই পশুকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মোটা করা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ক্ষতিকারক ওষুধ খাইয়ে মোটা করা পশু স্বাভাবিক পশুর চেয়ে অনেক বেশি মোটা বা নাদুসনুদুস দেখায়। দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় কিছুক্ষণ পর পর এগুলো পশু ঝিমিয়ে পড়ে এবং অনেক ক্লান্ত দেখায়। এছাড়া মোটা হলেও এসব পশুর চামড়া ঢিলা থাকে। সবচেয়ে বড় লক্ষণ পশুর গায়ে চাপ দিলে মাংস দেবে যাবে।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. আহসান হাবিব জানান, নিষিদ্ধ ক্ষতিকর ট্যাবলেট খাওয়ানো পশুর মাংসের মধ্যে অনেক রোগ জীবানু থাকে। তাই এসব মাংস স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়।  উচ্চ রক্তচাপ, আথ্রাইটিস, চোখে ছানি পড়া,  কিডনির সমস্যা, মুত্রনালী ও যকৃতের বিভিন্ন সমস্যাসহ নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে এই মাংস খেলে। এছাড়া শরীরের চামড়া পাতলা হয়ে যাওয়া ও মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যেতে পারে। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Link copied!