৭ জানুয়ারি আমার যদি মৃত্যু হয়, বর্তমান এমপিই দায়ী: সাবেক এমপি ইফতেকার

  • নেত্রকোনা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২৩, ০১:৪২ পিএম
৭ জানুয়ারি আমার যদি মৃত্যু হয়, বর্তমান এমপিই দায়ী: সাবেক এমপি ইফতেকার

নেত্রকোনা : ‘পিন্টু ভাইয়ের একটা নতুন স্লোগান তুলছেন উত্তর কেন্দুয়া। আরে পিন্টু ভাই আপনি পাঁচ বছর এমপি ছিলেন উত্তর কেন্দুয়া নাম ধইয়া দুলালরে চেয়ারম্যান বানাইছেন! আমার আমলে কিন্তু উত্তর কেন্দুয়ার নূরুল ইসলাম চেয়ারম্যান অইচে। আপনার আমলে কিন্তু হয় নাই। ধান্ধাবাজিডেয়া ছাড়েন। মিছা কথাডা ছাড়েন, মসজিদে দাঁড়ায়া অনেক মিছা কথা কইছেন! মসজিদও দুই লাখ টাকা দিয়ে গেলাম।

সম্প্রতি একটি নির্বাচনি জনসভায় কথাগুলো বলছিলেন নেত্রকোনা-৩ আসনের নৌকার মনোনীত প্রার্থী অসীম কুমার উকিল এমপি।

তিনি আরও বলেন, কইয়া গিছোনয়া, আইজ পর্যন্ত দিছোন না। এইতা আরেক মসজিদে গিয়া কইছুন একটা টাকাও দিছেন না, কইছুন তিন লাখ টাকা দিয়াম, এইতা বহুত মিছা কথা কইছুন। এইগুলি নিয়া কথা বলতে চাই না। আপনি গড়াডুবার লাইগা কিতা করুছুইন, আশুজিয়ার লাইগ্যা কিতা করছুইন। আপনার ইউনিয়ন বলাইশিশুলের লাইগ্যা কিতা করছুইন জানা আছে।’

অন্যদিকে আরেকটি নির্বাচনি সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি ইফতেকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু বলেন, ৭ তারিখ নির্বাচন, আমার যদি মৃত্যু হয়, আপনারা জেনে রাখবেন, আমাকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার যদি কোনো অ্যাক্সিডেন্ট হয়! গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট হয়, বোমার অ্যাক্সিডেন্ট হয়, যেহেতু বিএনপির আন্দোলন হইতেছে, আপনারা জেনে রাখবেন এইটা বর্তমান এমপি সাবের পরিবার থেকেই হইবে। আপনাদের সাক্ষী রাইখ্যা আমি বইল্যা গেলাম। আর ভোট নাকি নিয়ে যাইবে। আপনার সতর্ক থাকবেন।

এদিকে নেত্রকোনা-৩ আসনের কেন্দুয়ায় গত ১৮ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে স্বতন্ত্র ইফতেকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর নির্বাচনি কার্যালয়ে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই উপজেলার মাসকা বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কেন্দুয়া থানার ওসি এনামুল হক জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইফতেকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী অসীম কুমার উকিলের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মারধরের ঘটনা হয়। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে দায়ের করা মামলায়  বৃহস্পতিবার সকালে জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ডুপি চান্দালী গ্রামের সুলতান মিয়া ছেলে খোকন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

খোকন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এমটিআই

Link copied!